বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় পদে আমলা, আপত্তি চার শিক্ষক সংগঠনের

জামালপুরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
জামালপুরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ফটো

জামালপুরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কোষাধ্যক্ষ পদে সাবেক এক অতিরিক্ত সচিবকে নিয়োগ দেওয়া নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এরপর সোচ্চার হয়েছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি ও বিভিন্ন সংগঠন। এ নিয়োগের প্রতিবাদ জানিয়ে শিক্ষকদের চারটি সংগঠন বলেছে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আমলার নিয়োগ বাতিল ও আইন সংশোধনের করে আমলাদের প্রবেশের পথ বন্ধ করতে হবে।

এ দাবি মানা না হলে প্রয়োজনে কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে তারা হুশিয়ারি দিয়েছেন। আজ শনিবার (৮ মে) বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন ও তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন পৃথক বিবৃতিতে এ দাবি জানান।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন (এফবিইউটিএ) সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সংগঠন। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি এ নিয়োগ বাতিল করে সংশ্লিষ্ট আইন সংশোধনের দাবি জানিয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া বলেন, আগামী মঙ্গলবার এ বিষয়ে তারা সংবাদ সম্মেলন করবেন। সেখান থেকে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ হিসেবে সাবেক অতিরিক্ত সচিবের নিয়োগ বাতিলে সরকারের কাছে আবেদন জানানো হবে। এছাড়া কর্মসূচিও ঘোষণা করা হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি এক বিবৃতিতে সাবেক আমলার নিয়োগ বাতিল ও আইন সংশোধনের দাবি জানায়। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষস্থানীয় পদে সাবেক অতিরিক্ত সচিব নিয়োগ প্রচলিত রীতির বিরুদ্ধে যায়। রাষ্ট্রের অন্যান্য ক্ষেত্রের ন্যায় উচ্চ শিক্ষা ক্ষেত্রেও আমলাদের পদায়ন সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ।

আরও বলা হয়, রাষ্ট্রের বিভিন্ন পেশায় কর্মক্ষেত্র ও পরিধি সুনির্ধারিত। ভিন্ন পেশার একজনকে উচ্চ শিক্ষা প্রশাসনে নিয়োগ দিয়ে পেশাগত আন্তঃসম্পর্ককে হুমকির মুখে ফেলা হয়েছে। এতে রাষ্ট্র ও প্রশাসনে অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

এর আগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি এই নিয়োগের প্রতিবাদ জানায়। তাদের বিবৃতিতে বলা হয়, অযাচিত হস্তক্ষেপের মাধ্যমে উচ্চশিক্ষা, গবেষণা ও দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির পীঠস্থান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে মর্যাদাহীন প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার অশুভ প্রয়াস চালানো হচ্ছে। এছাড়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি পৃথক বিবৃতিতে বলেছে, সরকারি কর্মকর্তার নিয়োগদান বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর আমলাতন্ত্রের নগ্ন হস্তক্ষেপ।

উল্লেখ্য, অবসরোত্তর ছুটিতে থাকা পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আবদুল মান্নানকে গত ৫ মে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কোষাধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। রাষ্ট্রপতি ও আচার্যের অনুমোদনে চার বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয় তাকে।


সর্বশেষ সংবাদ