আম পাড়ায় শিক্ষার্থীকে থাপ্পড়, প্রক্টর বললেন— দায়িত্ব পালন করেছি

অভিযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আরিফুল ইসলাম
অভিযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আরিফুল ইসলাম  © টিডিসি ফটো

ক্যাম্পাস থেকে আম পাড়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে এক শিক্ষার্থীকে থাপ্পড় মারার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হাসান আলী বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের মার্স্টার্স ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেচ্ছা মুজিব হল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর পাঠানো ভুক্তভোগীর এক লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ তথ্য জানা গেছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে হাসান একই বিভাগের ছাত্রী ও তার স্ত্রী এবং বাসা মালিকের ছােট্ট মেয়েকে নিয়ে ক্যাম্পাসের ঘুরতে যান। পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেচ্ছা মুজিব হলের সামনে আম পাড়তে গাছে উঠেন এবং ৮/১০টি আম সংগ্রহ করেন।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সেখানে উপস্থিত হয়ে হাসানকে গাছ থেকে নেমে আসতে বলেন। গাছ থেকে নেমে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ওই শিক্ষককে না চিনতে পেরে ‘ভাই’ বলে সম্বোধন করেন এবং শিক্ষার্থী হিসেবে নিজের পরিচয় দেন।

এসময় ওই সহকারী প্রক্টর ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে ‘ছাত্র হইছিস তাে কি হয়েছে! আমসহ সামনে দাড়া! তাের ছবি উঠাব’ বলে শাশায়। পরে ভুক্তভোগী ভুল স্বীকার করা সত্ত্বেও সহকারী প্রক্টর বলেন ‘ক্যাম্পাস কি অরাজকতা পাইছিস! এভাবে ক্যাম্পাসের ফল ফলাদি নিয়ে যাস! তােদের কারণে ক্যাম্পাসে কিছু থাকে না।’

একপর্যায়ে সহকারী প্রক্টর আরিফ ভুক্তভোগীকে সজোরে থাপ্পড় দেন এবং বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে তাদের আটকে রাখেন। পরে প্রক্টরিয়াল বডি ভুক্তভোগীসহ অন্য দুইজনকে ছেড়ে দেয়।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হাসান আলী বলেন, ‘নিজের ক্যাম্পাসের গাছ থেকে আম পাড়ায় থাপ্পড় খেতে হলো। আমাকে থাপ্পড় মারার কারণে আমি শারীরিক ও মানসিকভাবে লাঞ্ছনার শিকার হয়েছি। সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আমি আমার শারীরিক ও মানসিকভাবে লাঞ্ছনার বিচার চাই।’

অভিযুক্ত সহকারী প্রক্টর আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমি আমার দায়িত্ব পালন করেছি। আমার সামনে অপরাধ দেখলে চুপ থাকবো না। সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করবো প্রটেক্ট করার।’ তিনি বলেন, আমি এ বিষয়ে কথা বলতে চাচ্ছিনা। তার উদ্ভট আচরণে আমি খুবই ক্ষুব্ধ। আমি আমার দায়িত্ব পালন করেছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর হোসেন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আগামীকাল সংশ্লিষ্ট সকলকে নিয়ে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হবে।’


সর্বশেষ সংবাদ