অনুমোদনের ৭ মাসেও চালু হয়নি খুবির পিসিআর ল্যাব

  © ফাইল ফটো

করোনাভাইরাস শনাক্তে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে পিসিআর ল্যাব নির্মাণ এবং আরটি-পিসিআর মেশিন কেনা হয়েছে অনেক আগেই। তবে প্রয়োজনীয় জনবল এবং কিটের অভাবে এখনও শুরু করা যায়নি কার্যক্রম। পূর্ণ মেয়াদের উপাচার্য নিয়োগ পেলে তখন জনবল নিয়োগের কার্যক্রম শুরু করা যাবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

গত বছরের ২২ জুলাই ২০৬তম সিন্ডিকেট সভায় একটি স্বতন্ত্র অত্যাধুনিক আরটি-পিসিআর ল্যাব স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর আট মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও ল্যাব বাস্তবতার মুখ দেখেনি। অনুমোদনের পর প্রয়োজনীয় সরকারি ক্রয়নীতি অনুসরণ করে টেন্ডার আহ্বানের মাধ্যমে পরবর্তীতে তা মূল্যায়ন করে গত বছরের ৪ অক্টোবর সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান-ওভারসিজ মার্কেটিং কর্পোরেশনের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তি হয়। চুক্তির আওতায় নির্ধারিত সময় ৫ জানুয়ারির মধ্যে আরটি পিসিআর মেশিনটি স্থাপনের কথা থাকলেও এখনও সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল ল্যাবের দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং সংশ্লিষ্ট ক্রয় কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. আশিষ কুমার দাস বলেন, কোভিড-১৯ শনাক্তের জন্য ল্যাবটি সম্পূর্ণ প্রস্তুত হলেও নেই পর্যাপ্ত জনবল। করোনা টেস্ট করার জন্য সেন্ট্রাল ল্যাব থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে দুজন সায়েন্টিফিক অফিসার এবং আটজন মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট নিয়োগের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল, তার মধ্যে একজনও এখন পর্যন্ত নিয়োগ হয়নি।

রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক খান গোলাম কুদ্দুস বলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়া, সিন্ডিকেট, একাডেমিক কাউন্সিল এগুলো পূর্ণ মেয়াদের উপাচার্য নিয়োগ পেলে তখন এসব প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে থাকা উপ-উপাচার্য আপাতত জনবল নিয়োগ দিতে পারছেন না।

অধ্যাপক খান গোলাম কুদ্দুস বলেন, অত্যাধুনিক আরটি-পিসিআর মেশিনে করোনাভাইরাস ছাড়াও অন্যান্য ভাইরাস শনাক্ত করা যাবে। এতে করে জেনোমিক্স ল্যাবের অধিনে আরটি-পিসিআর ল্যাবটি শিক্ষার্থীদের গবেষণার কাজে বড় ধরণের সহায়ক হবে।


সর্বশেষ সংবাদ