১৫ মার্চ ২০২১, ১০:৫৬

অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে প্রতিবেদন: তদন্ত কমিটি

  © টিডিসি ফটো

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) উপাচার্য অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর বিরুদ্ধে সাড়ে নয় ঘণ্টা ক্যাম্পাসে অবস্থান শেষে ইউজিসির কমিটির প্রধান অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ বলেছেন, উপাচার্যের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সবগুলো বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে তার অন্যদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে প্রতিবেদন দেয়া হবে।

রবিবার বেলা সোয়া ১২টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত দীর্ঘ সাড়ে নয় ঘণ্টা কমিটির প্রধান ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ্রের নেতৃত্বে আসা কমিটি তদন্ত করে। দীর্ঘ সময় অবস্থানের পর ক্যাম্পাস ত্যাগের সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন কমিটির সদস্যরা।

অধ্যাপক বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, আমরা আগেও ডকুমেন্ট সংগ্রহ করেছি। আজ সাক্ষ্য প্রমাণ নেয়া হলো। এসব যাচাই বাছাই করে যদি আরও ডকুমেন্ট প্রয়োজন হয় সেগুলো আমরা কালেক্ট করব। উপাচার্যের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোর দালিলিক প্রমাণাদিসহ সাক্ষী এবং অভিযোগকারীদের সঙ্গে কথা বলেছি। অভিযোগের সবগুলো বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসে অবস্থান না করার বিষয়টি প্রধান অভিযোগ। এছাড়া বিভিন্ন জনের দায়িত্ব ভিসি একাই পালন করেন, ইচ্ছে মতো নিয়োগ দেন, এরকম অনেক অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। এসব বিষয়ে তদন্তের স্বার্থে অভিযোগকারীদের ছাড়াও আর যাদের সাক্ষ্য নেয়া দরকার তাদের সাক্ষ্য নেয়া হচ্ছে।

এর আগে রবিবার (১৪ মার্চ) দুপুর পৌনে ১২টায় ইউজিসির সদস্য ও তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির প্রধান অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দের নেতৃত্বে ইউজিসির সিনিয়র সহকারী সচিব জামাল উদ্দিন এবং ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. আবু তাহের ক্যাম্পাসে পৌঁছান। প্রশাসনিক ভবনের সিন্ডিকেট রুমে ১০ ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার তদন্ত শেষে রাত ১০টায় বেরিয়ে যায় দলটি।

এদিকে তদন্ত চলাকালে রাত সাড়ে ৮টার দিকে ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি তুষার কিবরিয়ার নেতৃত্বে সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রশাসনিক ভবনে যান। সেখানে তদন্ত কমিটি তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছিল। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা উপাচার্যকে দুর্নীতিবাজ, অনিয়মের হোতা আখ্যায়িত করে তাকে দ্রুত বহিষ্কারের দাবি জানিয়ে স্লোগান দেন। পরে তদন্ত কমিটি ছাত্রলীগের দুই নেতাকে ভেতরে ডেকে নিয়ে তাদের অভিযোগও শোনেন।