দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত শেষ, ক্যাম্পাস ত্যাগ করলেন ইউজিসির কমিটি
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) উপাচার্য অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের তদন্তে আসা কমিটি সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ত্যাগ করে চলে গেছে। রবিবার বেলা সোয়া ১২টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত দীর্ঘ সাড়ে নয় ঘণ্টা ক্যাম্পাসে অবস্থান করে ইউজিসির তদন্ত কমিটি। এ কমিটির প্রধান ছিলেন ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ।
অধ্যাপক বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, বেরোবি উপাচার্যের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের বিষয়ে ৩০ জনেরও বেশি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের শীর্ষ কর্তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে এটার তদন্ত প্রতিবেদন দিতে একটু সময় লাগতে পারে। কিন্তু আামরা চাইছি, এটা যত দ্রুত দেওয়া সম্ভব; সে ব্যাপারে আমরা কাজ করছি।
তিনি বলেন, উপাচার্যের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো হচ্ছে– ক্যাম্পাসে না আসা, যে পদে নিয়োগ দেওয়া দরকার সেখানে নিয়োগ না দিয়ে অপ্রয়োজনীয় পদে বেশি বেশি নিয়োগ দেওয়ার নামে বাণিজ্য করা, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার, নিয়ম ভঙ্গ করে বিভিন্ন অপকর্ম করাসহ অনেক বিষয় আমরা তদন্ত করবো। এ ছাড়াও অধিকার সুরক্ষা পরিষদের আরও ১২০টি অভিযোগও খতিয়ে দেখা হবে।
এর আগে এদিন বেলা সোয়া ১২টায় দুটি গাড়িতে করে ক্যাম্পাসে আসে তদন্ত কমিটি। তারা গাড়ি থেকে নেমে প্রশাসনিক ভবনের পেছনের গেট দিয়ে সিন্ডিকেট সভা কক্ষে যান। সেখানে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ্র।
তিনি জানিয়েছেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ইউজিসি উপাচার্যের বিভিন্ন দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার বিষয়ে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের ওপর ভিত্তি করে তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন– ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক আবু তাহের। তদন্ত কমিটির সচিবের দায়িত্ব পালন করছেন সিনিয়র সহকারী সচিব জামাল উদ্দিন এবং সহযোগিতা করছেন সিনিয়র সহকারী সচিব আমিনুল ইসলাম।
এদিকে তদন্ত চলাকালে রাত সাড়ে ৮টার দিকে ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি তুষার কিবরিয়ার নেতৃত্বে সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রশাসনিক ভবনে যান। সেখানে তদন্ত কমিটি তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছিল। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা উপাচার্যকে দুর্নীতিবাজ, অনিয়মের হোতা আখ্যায়িত করে তাকে দ্রুত বহিষ্কারের দাবি জানিয়ে স্লোগান দেন। পরে তদন্ত কমিটি ছাত্রলীগের দুই নেতাকে ভেতরে ডেকে নিয়ে তাদের অভিযোগও শোনেন।