২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৮:৫০

আটকে গেছে কুবির ৫৮ সেমিস্টারের চূড়ান্ত পরীক্ষা

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ফটো

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) চলমান চূড়ান্ত পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্তে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর মিলিয়ে ৫৮টি সেমিস্টারের চূড়ান্ত পরীক্ষা আটকে গেছে। এতে করে ফের ভয়াবহ সেশনজটের কবলে পড়তে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সর্বত্র স্বাভাবিক চলাচল থাকলেও হঠাৎ করেই চলমান পরীক্ষা বন্ধ করা অযৌক্তিক।

জানা যায়, করোনা মহামারীর কারণে দীর্ঘদিন ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকার পর গত ২০ ডিসেম্বর থেকে চূড়ান্ত পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে গতকাল সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা না নেওয়ার সিদ্ধান্তের পর আজ মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপাচার্যের সাথে ডিন ও প্রভোস্টদের এক সভায় চলমান সকল পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয় কুবি প্রশাসন।

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্নাতকের ১৮ টি এবং স্নাতকোত্তরের ১৪ টি সেমিস্টারের চূড়ান্ত পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়। হঠাৎ পরীক্ষা স্থগিত করায় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর মিলিয়ে মোট ৫৮ টি সেমিস্টারের চলমান পরীক্ষা আটকে গেছে। এতে করে আবারও শিক্ষার্থীরা ভয়াবহ সেশনজটে পড়তে যাচ্ছেন।

পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করে নৃবিজ্ঞান বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী আলী আহমেদ সরকার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো বন্ধ রেখে স্বাস্হ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নেওয়া উচিৎ। করোনার দীর্ঘ সময় পরেও যদি এমন সিদ্ধান্ত না আসে তাহলে শিক্ষার্থীরা যেমন মানসিক ভারসাম্য হারাবে তেমনি সেশনজটের ভয়াবহও তীব্র হবে।

ফার্মেসি বিভাগ থেকে ২০১৫ সালে স্নাতক শুরু করা এক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমরা এমনিতেই প্রায় দেড় বছরেরও বেশি জটে আছি। ফার্মেসি বিভাগে ৫ বছরে অনার্স শেষ করতে হয় বিধায় আমদের মানসিকভাবে চাপে থাকতে হয়। আমাদের সমপর্যায়ের সবাই বিভিন্ন চাকরিতে জয়েন করছেন। অথচ আমরা মাত্র ৯ম সেমিস্টার দিচ্ছি। আজ আবার পরীক্ষা স্থগিত হলো। যেহেতু সবকিছু স্বাভাবিকভাবে চলছে এ মূহুর্তে পরীক্ষা বন্ধ করে দেয়া অযৌক্তিক।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি বিবেচনা করে ডিন ও প্রভোস্টদের সম্মতিক্রমে সকল ধরণের পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আমাদেও কিছু করার নেই। সরকারী নির্দেশনা পেলে আমরা আবার পরীক্ষা শুরু করবো।