১ মার্চের মধ্যে হল খুলে দেওয়ার দাবি ইবি শিক্ষার্থীদের
আগামী ১ মার্চে হলে উঠতে চায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। হল না খুলে দেওয়া হলে জোর করে হলে প্রবেশ করবে বলেও জানিয়েছেন তারা। আজ মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ঝাল চত্বরে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এ ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এছাড়া তারা দুটি দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে বলে জানিয়েছেন।
দাবির মধ্যে রয়েছে- স্থগিত করে দেওয়া পরীক্ষা কর্যক্রম পুনারায় চালু করা এবং আগামী ১ মার্চের মধ্যে হল খুলে দেওয়া। এ দাবিতে ক্যাম্পাস খুলে শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক না করা পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে বলে শিক্ষার্থীরা জানান। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান করে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ইউনিয়ন সংসদের সাধারণ সম্পাদক জিকে সাদিক শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রীর ঘােষণার পর ইতােমধ্যে ইবিতে সব ধরনের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। আমরা মনে করি, এটি চরম হঠকারী সিদ্ধান্ত। কারণ ইতােমধ্যে অনেক বিভাগের পরিক্ষা চলছে, কিছু বিভাগে পরীক্ষার তারিখ ঘােষণা করা করা হয়েছে। যার ফলে শিক্ষার্থীরা বাড়ি থেকে এসে মেস বা বাসা ভাড়া নিয়ে ক্যাম্পাসের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে অবস্থান করছে।’
তিনি বলেন, ‘এমন পরিস্থিতিতে পরীক্ষা বন্ধ করে দিয়ে শিক্ষার্থীদের বিপাকে ফেলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের এমন আচরণ শিক্ষার্থীদের হতাশ করেছে। এমন হঠকারী সিদ্ধান্ত আমরা প্রত্যাখান করছি এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহবান রাখছি, অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত থেকে সরে হল-ক্যাম্পাস খুলে শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক করার। অন্যথায় শিক্ষার্থীরা এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ যে ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে সেটি আর বজায় থাকবে না।’
তিনি আরো বলেন, ‘সাধারণ শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে কোনাে সিদ্ধান্ত নিলে সেটার দায়ভার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেই নিতে হবে। আমরা দেখেছি জাবি ও ঢাবি শিক্ষার্থীরা ইতােমধ্যে হলের তালা ভেঙে ঢুকে গেছে। ইবি প্রশাসনের আচরণ যেন শিক্ষার্থীদের এমন কাজের দিকে ঠেলে না দেয় সে আহবান করছি। যদি দ্রুত হল-ক্যাম্পাস খােলার সিদ্ধান্ত না নেয়া হয়, তাহলে শিক্ষার্থীরা সে পথে হাটতে বাধ্য হবে। যে কোন অপ্রিতিকর পরিস্থিতির দায়ভারও প্রশাসনকে নিতে হবে।’
জিকে সাদিক আরও বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, হল ও ক্যাম্পাস খুলে শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক করার দাবিতে যে আন্দোলন চলছে যদি এই আন্দোলন দমন করা ও শিক্ষার্থীদের উপর হয়রানি বা চাপ প্রয়ােগ করার কোনাে সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নেয়- তাহলে তার জন্য চরম মূল্য দিতে হবে। তাই কোনাে ধরনের দমন-পীড়নের দিকে না গিয়ে দ্রুত হল ও ক্যাম্পাস খুলে দেয়ার ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় শিক্ষার্থীরা হলে ঢোকার ব্যবস্থা নিজেরাই করে নিতে বাধ্য হবে।’
এর আগে, গত রবিবার এবং সোমবার হল ও ক্যাম্পাস খোলার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।