২০ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১২:৩১

হামলাকারীদের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা চান ববি শিক্ষার্থীরা

বরিশালে মহাসড়ক অবরোধ করে আজও বিক্ষোভ চলছে  © সংগৃহীত

১৩ ঘণ্টার আল্টিমেটাম শেষেও দাবি আদায় না হওয়ায় ফের রাস্তায় নেমে আন্দোলন করছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীরা। আজ শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে মহাসড়কে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। এতে বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কের যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায়।

এদিকে বরিশালে বাস মালিক-শ্রমিকরাও আন্দোলনে নেমেছেন। রূপাতলীর বাস শ্রমিকরা দুই প‌রিবহন শ্রমিককে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ও তাদের মুক্তির দাবিতে বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। এসময় তারা সড়কে অগ্নিসংযোগও করেন।

এর আগে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় দুই পরিবহন শ্রমিককে গ্রেপ্তার করে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ (বিএমপি)। শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) নগরীর রূপাতলি বাসস্ট্যান্ড থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

গ্রেপ্তার দুই পরিবহন শ্রমিক হ‌লেন- সাউথ বেঙ্গল প‌রিবহ‌নের হেলপার মো. ফি‌রোজ মুন্সী ও এম‌কে প‌রিবহ‌নের সুপারভাইজার আবুল বাশার র‌নি। দুজ‌নই রুপাতলী এলাকার বা‌সিন্দা। তাদের দুজন‌কেই এক‌টি বা‌সের ম‌ধ্য থে‌কে গ্রেপ্তার করা হয়।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থী মাহামুদুল ইসলাম তমাল আন্দোলন প্রসঙ্গে বলেন, ‘গতকাল বিকেল ৫টায় আল্টিমেটাম শেষ হয়েছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি কাওসার হোসেন শিপন, শ্রমিক নেতা মানিক ও মামুনকে আসামি করে মামলা করার জন্য দাবি জানিয়েছিলাম। প্রশাসন একটি মামলা দিয়েছে কিন্তু আসামির নাম উল্লেখ করা হয়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই হামলার ঘটনায় হত্যাচেষ্টা মামলা হোক। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীদেরও নিরাপত্তা দেওয়া হোক। এছাড়া শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া প্রায় ৫০টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হোক। এ ঘটনায় দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু আমরা মনে করি, মূল দায়ীদের বাদ দিয়ে সাধারণ শ্রমিকদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।’

এ প্রসঙ্গে বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ‘ভোররাতে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা এ ঘটনায় জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালাচ্ছি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক সুব্রত কুমার দাস বলেন, ‘শিক্ষার্থী ও পুলিশের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি আমরা। যে দু‘জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের মাধ্যমে মূল আসামিদের নাম পুলিশ অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে বলে আমরা মনে করছি। তদন্ত করলেই মূল আসামি ও তাদের মোটিভ বেরিয়ে আসবে।’