১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৪:২০

হামলায় জড়িতদের বিচার দাবি ববি ভিসির

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন ববি উপাচার্য  © টিডিসি ফটো

রাতের আঁধারে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) শিক্ষার্থীদের ওপর সশস্ত্র হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে জড়িতদের বিচার দাবি করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন। তিনি বলেছেন, এটি একটি নৃসংশ হামলার ঘটনা ঘটেছে। আমরা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

হামলার প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে সামনে আন্দোলনত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এসময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত শিক্ষার্থীদের ব্যয়ভার বহনেরও আশ্বাস দেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন বলেন, আমরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধের সঙ্গে বসেছি। তারা কি বলতে চায় সে বিষয়ে শুনেছি। তারা আমাদের কাছে ৩ দফা দাবি জানিয়েছে- জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার, শিক্ষার্থীদের নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করা।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের এসব বিষয় নিয়ে আমরা তাদের আশ্বস্ত করেছি। আলাপ-আলোচনা করে পরে তাদেরকে আমাদের সিদ্ধান্ত জানাবো। এসময় আমরা শিক্ষার্থীদের আহবান করেছি, যেন আটকে রাখা সড়কটি তারা ছেড়ে দেয়। তারা আবার আমাদের সাথে আসুক, বসুক এবং কথা বলুক। আমরা তাদের আরও কথা শুনতে চাই।

হামলায় জড়িতদের বিচার দাবি করে উপাচার্য বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের উপর যে ন্যাক্কারজনক হামলা হয়েছে আমরা এর বিচার চাই। আমাদের এসব শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। হামলার শিকার হয়ে যেসব শিক্ষার্থীরা আহত হয়েছেন তাদের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করবো।

এর আগে মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী তৌফিকুল সজল ও ফারজানা আক্তার বাড়ি যাবার জন্য বিআরটিসি বাস কাউন্টারে যায়। সেখানে বাস স্টাফের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে সজলকে ছুরিকাঘাত করে রফিক। এছাড়া ফারজানাকে লাঞ্ছিত করা হয়। পরে ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। পরে রাত আনুমানিক ১টার দিকে শিক্ষার্থীদের উপর ফের হামলার ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে। বুধবার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টিরে সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে শিক্ষার্থীরা। এতে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় পাঁচ জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়ে। এ পরিস্থিতির মধ্যেই বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা একটি বাসে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর চালায়।