বিভাগ পরিবর্তন ইউনিটের দাবিতে অনশনে ভর্তিচ্ছুরা
গুচ্ছ পদ্ধতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় বিভাগ পরিবর্তনের জন্য আলাদা ইউনিট এবং সিলেকশন পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে অনশন কর্মসূচি পালন করেছেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। এছাড়া দাবি না মানলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তারা।
আজ সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রধান ফটকের সামনে তারা এ অনশন কর্মসূচি পালন করে। কর্মসূচিতে বিভিন্ন কলেজের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
কর্মসূচি পালনকালে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমরা গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার আয়োজনকে সাধুবাদ জানাই। তবে বিভাগ পরিবর্তন বন্ধ এবং সিলেকশন পদ্ধতি হঠকারি সিদ্ধান্ত বলে আমরা মনে করি। সেকেন্ড টাইমাররা দেড় বছর বিভাগ পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে আসছে। তারা বেশি বিপাকে পড়ছে।’
তারা বলেন, ‘হুট করে বিজ্ঞানের সাবজেক্টে প্রস্তুতি নেওয়া অসম্ভব। এছাড়া গুচ্ছ পরীক্ষায় সিলেকশন পদ্ধতির জন্য অনেক শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।’
শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘চান্স পাওয়া পরের কথা, আমরা পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ চাই। পরীক্ষা নিয়ে আমাদের মোধা যাচাই করা হোক। পরীক্ষা দেওয়ার কথা প্রায় ১৮ লাখ, সেখানে চার লাখ সুযোগ পাচ্ছি। এটা সত্যিই হতাশাজনক। যেসময় আমাদের পড়ার টেবিলে থাকার কথা সেসময় আমরা রাস্তায় দাঁড়িয়েছি।’
দাবি না মানলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে তারা বলেন, ‘ঢাকায় অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা ইউজিসি বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে। সেখানকার সচিব আমাদের আশ্বস্ত করলেও যথাযথ সাড়া পায়নি। আমাদের দাবির বিষয়টি বিবেচনায় এনে কর্তৃপক্ষ মেনে নিবেন বলে আশা করি। আমরা মাঠে নেমেছি, দাবি আদায় করেই ছাড়বো। এজন্য আমরা আমরণ অনশনসহ যেকোন পদক্ষেপ গ্রহণে প্রস্তুত।’
উল্লেখ্য. গত ১৯ ডিসেম্বর এক সভায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা সিদ্ধান্ত নেন, সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে। এতে বিভাগ পরিবর্তনের জন্য আলাদা কোন ইউনিট থাকবে না। এবার ভর্তি পরিক্ষার ক্ষেত্রে ন্যূনতম যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে হবে।
সেই আবেদন থেকে যাচাই-বাছাই করা নির্দিষ্ট সংখ্যক প্রার্থীকেই ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ দেয়া হবে। যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও অনেক শিক্ষার্থীর এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ থাকছে না। এ সিন্ধান্তের পর শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।