খুবিতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির নেপথ্যে

বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে মঙ্গলবার রাত থেকে দুই শিক্ষার্থী আমরণ অনশন করছেন
বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে মঙ্গলবার রাত থেকে দুই শিক্ষার্থী আমরণ অনশন করছেন  © সংগৃহীত

আমরণ অনশনের ৪৮ ঘণ্টা পার হলেও বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে অনড় রয়েছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) আন্দোলনরত দুই শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে অসুস্থ হয়ে পড়লে এক শিক্ষার্থীকে স্যালাইন দেওয়া হয়। এছাড়া অনশনস্থলে জরুরি অবস্থার জন্য  অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কয়েক দফা অনশনস্থলে গিয়ে দুই শিক্ষার্থীকে কর্মসূচি প্রত্যাহারের অনুরোধ করলেও তারা রাজি হননি। প্রশাসনিক ভবনের সামনে মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) থেকে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে মোবারক ও ইমামুল নামের ওই দুই শিক্ষার্থী আমরণ অনশন করছেন।

এদিকে ছাত্র আন্দোলনে উসকানি দেওয়ার অভিযোগে বরখাস্তের চূড়ান্ত নোটিসের জবাব দেননি অভিযুক্ত তিন শিক্ষক। অন্যদিকে দুই শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি ছড়িয়েছে রাজপথেও। তাদের বহিষ্কারসহ বিভিন্ন অনিয়মের প্রতিবাদে শিববাড়ী মোড়ে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন সচেতন নাগরিক ও সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা। তাছাড়া বিবৃতি দিয়েছেন শিক্ষক ও ছাত্র সংগঠনের নেতারা।

অস্থিতিশীল পরিস্থিতির নেপথ্যে: বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে ড. মোহাম্মদ ফায়েকউজ্জামানের দ্বিতীয় মেয়াদ শেষ হচ্ছে এ মাসেই। তার কার্যকালের শেষ মুহূর্তে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির পেছনে নানা ঘটনা রয়েছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

জানা যায়, ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আন্দোলনে দুই অধ্যাপকের পথ আটকানোর ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে ছাত্র আন্দোলনে উসকানি দেওয়ার অভিযোগে তিন শিক্ষককে দেওয়া হয়েছে বরখাস্তের চূড়ান্ত নোটিস। ওই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে খুবি কর্তৃপক্ষ যাতে চূড়ান্ত শাস্তির সিদ্ধান্ত নিতে না পারে সে জন্য পরিস্থিতি উত্তপ্ত করা হচ্ছে বলে একটি পক্ষ মনে করে।

উপাচার্য ড. মোহাম্মদ ফায়েকউজ্জামান বলেন, ছাত্র আন্দোলন করেছে ৩০-৪০ জন। কিন্তু ওই দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে শিক্ষকদের সঙ্গে অসদাচরণের জন্য। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন-কানুন সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে আন্দোলনে উসকানি দেওয়ায় তিন শিক্ষককে চূড়ান্ত নোটিস দেওয়া হয়েছে। কিন্তু যা-ই কিছু ঘটুক না কেন, তারা সার্বিক কর্মকান্ডের জন্য অনুশোচনা বোধ করলে সবকিছুরই শেষ হতে পারে।

এদিকে সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরতদের চাকরি স্থায়ী করতে নিয়োগে সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে নানা সমালোচনা হয়েছে। নিয়োগ-বাণিজ্যে সুবিধা করতে না পেরে তৃতীয় পক্ষ পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

বৃহস্পতিবার শিববাড়ী মোড়ে মানববন্ধনে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের পাশাপাশি উপাচার্য কর্তৃক নিয়োগ-বাণিজ্য, স্বজনপ্রীতি নিয়েও সমালোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে উপাচার্য বলেন, অভ্যন্তরীণ প্রার্থীদের জন্য সুযোগ সব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে রয়েছে। যারা ভিতরে আগে থেকে অস্থায়ী থাকেন, তাদের স্থায়ী করতে কিছুটা ছাড় থাকে।

এদিকে বরখাস্তের চূড়ান্ত নোটিস পাওয়া বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আবুল ফজল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমাকে নোটিসের জবাব দিতে সময় দেওয়া হয়েছে মাত্র দেড় দিন। অথচ বিধি মোতাবেক কমপক্ষে সাত কার্যদিবস প্রাপ্য। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ছোট একটি পত্রিকার জন্য লেখা কবিতা-নাটকও সেন্সর করা হয়। অনুমতি ছাড়া বাধ্যযন্ত্র বাজানো যায় না। যিনি ক্লাস নেন তিনি পরীক্ষার খাতা দেখেন। এ কারণে দ্বিতীয় পরীক্ষণের দাবি জানানো হয়েছিল।

এদিকে মহানগর ও জেলা ছাত্রলীগ পাল্টা বিবৃতিতে খুবিতে সৃষ্ট ঘটনায় ঘোলা পানিতে মাছ শিকার না করার আহ্বান জানিয়েছে। ছাত্রলীগ নেতারা বলেন, কতিপয় সুবিধাবাদী সংগঠন উসকানিমূলক বিবৃতিতে ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে। তারা রাজনীতিমুক্ত এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত পরিবেশকে অশান্ত ও প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের বিবৃতি: এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক। একইসঙ্গে দুই শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার এবং তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক অত্যাচার বন্ধ করে তাদের স্বপদে বহাল রাখার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। 

বৃহস্পতিবার দেওয়া বিবৃতিটিতে বলা হয়েছে, গত ১৮ জানুয়ারি খুবি কর্তৃপক্ষ তিন শিক্ষককে ‘চূড়ান্ত নোটিশ’ পাঠিয়েছেন। গত বছরের জানুয়ারিতে শিক্ষার্থীরা আবাসিক সংকট সমাধানসহ কিছু বিষয়ে দাবি-দাওয়া জানাচ্ছিলেন। সেগুলোতে এই শিক্ষকেরা সমর্থন জানানোয় তারা কর্তৃপক্ষের রোষানলে পড়েন। এর ধারাবাহিকতায় শিক্ষকদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়, যার প্রতিবাদ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক জানিয়েছিল। এবারের নোটিশটি আরও গুরুতর। সেখানে বলা হয়েছে, তাদের চাকরি থেকে অপসারণ কেন করা হবে না, সে বিষয়ে উত্তর দিতে। নোটিশের উত্তর দেওয়ার জন্য শিক্ষকদের যথেষ্ট সময়ও দেওয়া হয়নি। 

সেখানে বলা হয়, গত কয়েক মাসে সংঘটিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এটাই প্রতীয়মান হচ্ছে যে, খুবি কর্তৃপক্ষ এই তিন জন শিক্ষককে প্রতিহিংসাপরায়ণভাবে শিক্ষকতা পেশা থেকে সরানোর চেষ্টা করছেন। শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনের (আবাসন-সংকট সমাধানসহ অন্যান্য দাবি-দাওয়া) প্রতি সংহতি প্রকাশ যেকোনো শিক্ষকের সাধারণ কর্তব্যবোধের পরিচায়ক; আর ওই শিক্ষকরা সেটাই করেছিলেন। সাধারণ শিক্ষকসুলভ আচরণকে কর্তৃপক্ষ যে বারংবার প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাইছে, তার থেকেই আমরা বুঝতে পারি কর্তৃপক্ষের স্বার্থ ও উদ্দেশ্য সম্বন্ধে। শিক্ষার্থীরা তাদের মৌলিক অধিকারের প্রশ্নে দাবি-দাওয়া পেশ করতে পারেন এবং কর্তৃপক্ষ সাধ্যানুযায়ী সেগুলো বাস্তবায়নের চেষ্টা করবেন। কর্তৃপক্ষের অপারাগতার জায়গাগুলোতে দফায় দফায় আনুষ্ঠানিক পারস্পরিক আলাপ-আলোচনার ব্যবস্থা করাও প্রশাসনিক কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। সংলাপ বরাবরই প্রশাসকদের সক্ষমতা ও সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে। 

৬৬ জন শিক্ষকের সই করা বিবৃতিটিতে আরও বলা হয়, খুবি কর্তৃপক্ষের চিঠির ভাষা মনোযোগ দিয়ে পাঠ করলে এটা বুঝতে সমস্যা হওয়ার কথা নয় যে, তারা সেখানে অগণতান্ত্রিক, অস্বচ্ছ ও সম্পূর্ণ স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থা কায়েম রাখার পক্ষে। চিঠিতে শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করাকে ‘অস্বাভাবিক’, ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’, বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ‘অবমাননাকর’, ‘ঔদ্ধত্যপূর্ণ’— হিসেবে চিহ্নিত করে শিক্ষকদের সাধারণ শিক্ষকসুলভ আচরণকে কর্তৃপক্ষ যে বারংবার প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাইছে, তার থেকেই আমরা বুঝতে পারি কর্তৃপক্ষের স্বার্থ ও উদ্দেশ্য নিবর্তনমূলক। আমাদের দুর্ভাগ্য যে, বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্বসূরি শিক্ষকরা সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অখণ্ড স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করে যেতে পারেননি। এটাও পরম পরিতাপের যে, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্বসূরি শিক্ষক-প্রশাসকেরা স্বায়ত্তশাসনের নজির থাকা সত্ত্বেও ‘সরকারি কর্মচারীদের জন্য প্রযোজ্য বিধি-বিধান’ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনে সন্তোষ খুঁজে পেয়েছিলেন। আর এটা চরম পরিহাসের যে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ‘রাজনীতিমুক্ত’ তকমা নিয়ে গর্ব বোধ করে আর লাগাতার কর্তৃত্বশালী ‘রাজনৈতিক’ ক্ষমতা চর্চা করে থাকে। আমরা সুনিশ্চিত যে, তিন জন শিক্ষক ও দুই জন শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ অসৎ-উদ্দেশ্য ও ব্যক্তিস্বার্থ থেকে প্রেষিত, হার-জিতের গোঁয়ার্তুমি থেকে উত্থিত এবং ক্যাম্পাসের ‘রাজনৈতিক’ দাবা খেলার ফলাফল। 

সবশেষে বিবৃতিদাতারা বলেন, আমরা, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের সদস্যরা খুবি কর্তৃপক্ষের এই হিংস্র ও স্বার্থান্বেষী তৎপরতার তীব্র নিন্দা জানাই। কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান জানাই যেন তারা দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিকর ও অপ্রশাসকসুলভ এই হঠকারিতার রাস্তা ত্যাগ করেন। অনতিবিলম্বে দুই জন শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার এবং তিন জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক অত্যাচার বন্ধ করে তাদের স্বপদে বহাল রাখার দাবি জানাই। 

বিবৃতিটিতে সই করেছেন— জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মানস চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. কামরুল হাসান, জাবির নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস ও অধ্যাপক আইনুন নাহার, জাবির অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, জাবির নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মির্জা তাসলিমা সুলতানা ও অধ্যাপক মাহমুদুল সুমন, ঢাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা, ঢাবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজীম উদ্দিন খান, ঢাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন, সহকারী অধ্যাপক মার্জিয়া রহমান, অধ্যাপক ফাহমিদুল হক, সহকারী অধ্যাপক কাজলী শেহরীন ইসলাম, অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জাকিয়া সুলতানা মুক্তা, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক জায়েদা শারমিন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আ-আল মামুন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজির সহযোগী অধ্যাপক নুরুজ্জামান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শেহরীন আতাউর খান ও সহকারী অধ্যাপক সৌম্য সরকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আসিফ মোহাম্মদ শাহান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম প্রমুখ।

বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের নিন্দা ও প্রতিবাদ: বৃহস্পতিবার দেওয়া সংগঠনটির এক বিবৃতিটিতে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক ও ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনে সংযুক্ত থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক ও অন্যায়। এছাড়া সেই আন্দোলনে সাথে একাত্মতা পোষণ করায় বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আবুল ফজল, প্রভাষক শাকিলা আলম এবং ইতিহাস ও সভ্যতা বিভাগের প্রভাষক হৈমন্তী শুক্লা কাবেরীকে অপসারণ করার সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যা স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য অশনি সংকেত এবং মুক্তবুদ্ধি ও জ্ঞানচর্চার জন্য হুমকিস্বরূপ।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এ ধরণের অগণতান্ত্রিক ও স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় সংগঠনটি। একইসাথে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে গৃহীত এই অন্যায় ও নিপীড়নমূলক সিদ্ধান্ত দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রত্যাহার চায়।


সর্বশেষ সংবাদ