বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার দাবি, আমরণ অনশনে খুবির ২ শিক্ষার্থী
বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারে নতুন করে ৪৮ ঘন্টা সময় বেঁধে দিয়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) সেই দুই শিক্ষার্থী। রবিবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে ক্যাম্পাসের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে এ ঘোষণা দেয় শিক্ষার্থীরা। ২ শিক্ষার্থীর অবস্থান কর্মসূচি এখনো চলমান রয়েছে।
এর আগে শনিবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে ওই দুই শিক্ষার্থী তাদের শাস্তি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেন। শিক্ষার্থীরা হচ্ছেন- বাংলা ডিসিপ্লিনের মোহাম্মদ মোবারক হোসেন নোমান (১৮ ব্যাচ) এবং ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের ইমামুল ইসলাম।
প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, পাঁচ দফা আন্দোলনে যুক্ত থাকায় আমাদেরকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আমাদের বহিষ্কারাদেশ আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় আমরা আমরণ অনশন চালিয়ে যাব।
তাদের অবস্থানের বিষয়টি জানতে পেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক পরিচালক মো. শরীফ হাসান লিমন এবং সহকারী ছাত্র বিষয়ক পরিচালকদের সাথে নিয়ে গতকাল রবিবার রাত আটটায় অবস্থানরত ওই দুই শিক্ষার্থীর কাছে যান। এসময় তিনি তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালিয়ের রীতিনীতি বিধিবিধান প্রতিপালনের স্বার্থে অবস্থান কর্মসূচি থেকে সরে নিয়মানুযায়ী আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ গ্রহণের আহ্বান জানান।
মো. শরীফ হাসান বলেন, তাদের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা প্রাথমিক। এটা এখনও চূড়ান্ত নয়। তারা আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ গ্রহণ করলে কর্তৃপক্ষ তা বিবেচনায় নিতে পারেন। শীতের এই রাতে তিনি তাদেরকে এই অবস্থান ত্যাগ করে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ জানান।
গত ১৩ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক পরিচালক ও শৃঙ্খলা বোর্ডের সদস্য সচিব মো. শরীফ হাসান লিমন বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, আবাসিক হলে জুনিয়র শিক্ষার্থীদের রাতভর শারীরিকভাবে নির্যাতন ও গালিগালাজ করার অপরাধে পাঁচজন এবং তদন্ত ও একাডেমিক কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করার দায়ে আরো দুইজন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি প্রদান করা হয়।
এ ঘটনার পর গত ১৬ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা খুলনা প্রেস ক্লাবে বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহারের জন্য সংবাদ সম্মেলন করেন। পাশপাশি ২৪ ঘন্টার সময় বেঁধে দেন প্রশাসনকে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় গতকাল রবিবার রাত ৭টা থেকে ফের ৪৮ ঘণ্টার কর্মসূচি শুরু করা হয়েছে।