অসদাচরণের দায়ে শাস্তি, প্রত্যাহার চায় খুবি শিক্ষার্থীরা
- খুবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২১, ০৬:০৭ PM , আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২১, ০৬:২৪ PM
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে তদন্ত ও একাডেমিক কার্যক্রমে বাধা, শিক্ষকদের সাথে অসদাচরণের অভিযোগে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে এসব শাস্তির মেয়াদ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
আজ শনিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানিয়েছেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মোহাম্মদ মোবারক হোসেন নোমান। এসময়ে শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, খুবি শিক্ষার্থীদের ৫ দফা আন্দোলনে যুক্ত থাকার কারণে বাংলা ডিসিপ্লিনের মোহাম্মদ মোবারক হোসেন নোমান (১৮ ব্যাচ) এবং ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের ইমামুল ইসলামকে (১৭ ব্যাচ) অসদাচরণের অভিযোগে এনে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। একই সাথে তারা এটার প্রতিবাদ ও শাস্তি প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন।
গত ১৩ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক পরিচালক ও শৃঙ্খলা বোর্ডের সদস্য সচিব প্রফেসর মো শরীফ হাসান লিমন বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, বাংলা ডিসিপ্লিনের ৩য় বর্ষের মোবারক হোসেন নোমানকে দুই জন শিক্ষকের পথ আটকানো ও তাদের সাথে গুরুতর অসদাচরণ করা, তদন্ত কমিটির সম্মুখে বক্তব্য দিতে অস্বীকৃতি ও অন্য শিক্ষার্থীকে কমিটির সম্মুখে বক্তব্য না দেয়ার জন্য চাপ প্রদান এবং একাডেমিক কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করার অপরাধে এক বছরের (২ টার্ম) জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের ৪র্থ বর্ষের ইমামুল ইসলামকে ও একই অপরাধের সাথে ব্যক্তিগতভাবে পাঠানো তদন্ত কমিটির গোপনীয় চিঠি উস্কানিমূলক শিরোনাম দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করা বা কাউকে দিয়ে পোস্ট করানো ও তদন্ত কমিটির সাক্ষাৎকার গোপনে রেকর্ড করার চেষ্টার অপরাধে দুই বছর (৪ টার্ম) জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর শিক্ষার্থীরা ৫ দফা দাবি সংক্রান্ত স্মারকলিপি ছাত্রবিষয়ক পরিচালকের মাধ্যমে উপাচার্যের কাছে পেশ করেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সন্তুষ্টিজনক সাড়া না পেয়ে গেল বছরের ১ জানুয়ারির থেকেই দাবি বাস্তবায়নের জন্য আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা।
এরপর আন্দোলন চলাকালীন দু’জন শিক্ষকের সাথে অসদাচরণ করা হয়েছে এমন অভিযোগের প্রক্ষিতে দুই শিক্ষার্থীকে কারন দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। তদন্তের পর দুইজন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি প্রদান করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে আবাসিক হলে জুনিয়র শিক্ষার্থীদের রাতভর শারীরিকভাবে নির্যাতন ও গালিগালাজ করার অপরাধে পাচঁ জন শিক্ষার্থীকেও বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি প্রদান করেন।