হল খোলা ও ফি মওকুফের দাবিতে ইবিতে গণস্বাক্ষর

গণস্বাক্ষর কর্মসূচী
গণস্বাক্ষর কর্মসূচী  © টিডিসি ফটো

স্বাস্থ্যবিধি মেনে হল খুলে পরীক্ষা গ্রহণসহ ৩ দফা দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচী পালন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ছাত্র ইউনিয়ন সংসদ। তাদের অন্য দুই দাবি হলো, নম্বরপত্র, সার্টিফিকেট ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উত্তোলনে প্রশাসনিক জটিলতা নিরসন ও পরিবহন ফি ও অন্যান্য ফি মওকুফ করা।

বুধবার ( ১৩ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়না চত্বর এলাকায় এ কর্মসূচী শুরু হয়। আগামী শনিবার পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে। এ কর্মসূচী শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালামের কাছে দাবি সংবলিত স্বাক্ষরলিপি জমা দেবে বলে জানা গেছে।

এ গণস্বাক্ষরে শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। স্বাক্ষর করতে আসা আইন বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থী আবুজার গিফারী বলেন, ‘দাবিগুলো যৌক্তিক তাই একমত পোষণ করে স্বাক্ষর করেছি। যাদের বাড়ি দূর-দূরান্তে তারা হঠাৎ এসে থাকবে কোথায়? মেসে সিট খোঁজা নিয়েও বিড়ম্বনা পোহাতে হচ্ছে। মেয়েরা বেশি বিড়ম্বনায় পড়ছে মেস খোজা নিয়ে। দীর্ঘ ১০ মাস ধরে ক্যাম্পাস বন্ধ। আমরা হলে থাকিনি, বাসে চড়িনি ফি দেব কেন? যারা টিউশনি করাই। বাড়িতে থাকা অবস্থায় টিউশনিও বন্ধ ছিল। করোনার কারণে বাড়িতেও অনেকের আর্থিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। এমন সময় বড় অংকের একটা টাকা ঘাড়ে চেপে বসছে।’

আইন বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী সুমাইয়া মিতু বলেন, ‘আমি ক্যাম্পাসের আশেপাশে মেস খালি না পেয়ে কুষ্টিয়া শহরে গিয়ে থাকছি। পরীক্ষা শুরু হলে দীর্ঘপথ জার্নি করে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া কষ্টকর। তাই আমার দাবি হলো দ্রুত হল খুলে দেওয়া হোক।’

এ বিষয়ে ছাত্র ইউনিয়ন ইবি সংসদের সাধারণ সম্পাদক জিকে সাদিক বলেন, ‘তিন দফা দাবিতে আমরা সমাবেশ করেছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোন ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। এ বিষয়ে তারা সাড়াও দেয়নি। পরবর্তী কর্মসূচী হিসেবে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি চালাচ্ছি।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘হল খোলার ব্যাপারে তাদের দাবি যৌক্তিক। তবে ইউজিসি কিংবা শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে কোন অনুমতি না আসায় আমরা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারছিনা।’

ফি মওকুফের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘একবছর ক্যাম্পাসে না থেকে তারা হল ও পরিবহন ফি কেন দিবে? এ ব্যাপারে আমিও একমত। তবে আমরা শিক্ষার্থীদের থেকে যে টাকা নেই তা বাজেটে রিফ্লেকটিভ হয়। তখন আয় রেখে বাকি টাকা সরকার দেয়। এটি আমাদের একটি সম্মিলিত সিদ্ধান্ত।’

এর আগে একই দাবিতে গত ৯ জানুয়ারি ছাত্র সমাবেশ করে ইবি ছাত্র ইউনিয়ন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে সংসদের নেতারা। দাবি আদায় না হলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দেয় তারা। এদিকে গত ৯ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর শ্রেণীর পরীক্ষা শুরু হয়েছে। কিছু বিভাগ পরীক্ষার সময়সূচিও ঘোষণা দিয়েছে। এতে হল বন্ধ থাকায় আবাসিক সংকটে পড়ছে শিক্ষার্থীর। বেশি ভোগান্তিতে পড়ছে নারী শিক্ষার্থীরা।


সর্বশেষ সংবাদ