সবচেয়ে পিছিয়ে বেরোবি-ববি-বশেমুরবিপ্রবি
দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতে সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি)। এর পরের অবস্থান বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি)। আর শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতে পিছিয়ে থাকা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি)।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) ৪৬তম বার্ষিক প্রতিবেদন থেকে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতির কাছে ইউজিসির ১৯তম বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ করা হয়।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বেরোবিতে বর্তমানে রেজিস্টার্ড শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৮ হাজার ৩৯৩ জন। এর বিপরীতে শিক্ষক রয়েছেন মাত্র ১৮৮ জন। সে হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক-শিক্ষার্থীর গড় অনুপাত ১:৪৪। অর্থাৎ প্রতি ৪৪ জন শিক্ষার্থীর জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক রয়েছেন একজন করে, যা বৈশ্বিক ন্যূনতম মানদণ্ড (১:২০) এমনকি জাতীয় পর্যায়ের গড় অনুপাত থেকেও অনেক বেশি।
তালিকায় বেরোবির পরের অবস্থানে রয়েছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী সংখ্যা ৮ হাজার ২৯১ জন। এর বিপরীতে শিক্ষক রয়েছেন ১৯৩ জন। সে হিসেবে এখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত দাঁড়ায় ১:৪৩।
এর পরের অবস্থানে রয়েছে গোপালগঞ্জের বশেমুরবিপ্রবি। বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী সংখ্যা ১০ হাজার ৯৮৯ জন। আর শিক্ষক রয়েছেন মাত্র ২৭২ জন। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত ১:৪০। অর্থাৎ এখানে প্রতি ৪০ জন শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষক রয়েছেন মাত্র ১ জন করে।
শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতে পিছিয়ে থাকার তালিকায় এর পরের অবস্থান যথাক্রমে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ও হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ও (হাবিপ্রবি)। বিশ্ববিদ্যালয় দুটিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত দাঁড়ায় ১:৩৮ ও ১:৩৭।