বেরোবি উপাচার্যের লাগাতার অনুপস্থিতি; উপ-উপাচার্য অবরুদ্ধ
নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই মাসের পর মাস ক্যাম্পাসে অনুপস্থিত থেকেই ঢাকা থেকে ক্যাম্পাস পরিচালনা করছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ। তার সকল দুর্নীতি ও অনিয়মের প্রতিবাদে ও উপাচার্যের সার্বক্ষণিক উপস্থিতির দাবিতে উপ-উপাচার্য ড. সরিফা সালোয়া ডিনাকে অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংগঠন অধিকার সুরক্ষা পরিষদ।
বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে প্রশাসনিক ভবনের সিন্ডিকেট কক্ষে তাকে অবরুদ্ধ করে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তারা। উপ-উপাচার্যের সঙ্গে অর্থ ও হিসাব দপ্তরের পরিচালক হাফিজুর রহমান সেলিমকেও অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।
অধিকার সুরক্ষা পরিষদের আহ্বায়ক ড. মতিউর রহমান বলেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ক্যাম্পাসে থাকেন না। রেজিস্ট্রারও ক্যাম্পাসে অফিস করেন না। ঢাকায় লিয়াজোঁ অফিসের নামে তারা ঢাকায় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করেন। ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হাওয়া ভবন বানিয়ে দুর্নীতি ও অনিয়ম করে যাচ্ছে একটি সিন্ডিকেট। নিয়োগ, ভাইভা, সিন্ডিকেট সভা থেকে শুরু করে সবকিছু ঢাকা থেকে হয়। এছাড়াও পতাকা বিকৃতির ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মামলা করা তো দূরে থাক উল্টো অপরাধীদের পক্ষ নিয়ে তাদেরকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন যা দেশের ও জাতির জন্য অপমানের।
বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান বলেন, ক্যাম্পাসে উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ ও রেজিস্ট্রার আবু হেনা মুস্তাফা কামাল দীর্ঘদিন ধরে অনুপস্থিত থাকায় চেইন অব কমান্ড ভেঙে পড়েছে। অনেকেই অফিস না করে নিয়মিত বেতন তুলে খাচ্ছেন। একটি সিন্ডিকেট নানান অনিয়ম করে আঙুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছেন। আমাদের দাবি ক্যাম্পাসে অতিসত্বর উপাচার্যকে আসতে হবে এবং এসব অনিয়ম দুর্নীতিরোধ করতে হবে।এসময় পতাকা বিকৃতিকারীদেরও শাস্তি নিশ্চিত করার আহব্বান জানান তিনি।
এতে শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. গাজী মাজহারুল আনোয়ার, ড. তুহিন ওয়াদুদ, কর্মকর্তা অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফিরোজুল ইসলাম, কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি নুর আলম প্রমুখ অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন।
উল্লেখ্য, এই রিপোর্ট লেখো পর্যন্ত অধিকার সুরক্ষা পরিষদ অবন্থান কর্মসূচী পালন করছিলেন।