হল ফি মওকুফ ও সেশন ফি কমানোর পক্ষে ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগ
করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই দুঃসময়ে হল ভাড়া মওকুফ এবং সেশন ফি কমানোর দাবি জানিয়েছে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। দাবির প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা বলছেন, কলেজের স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর শ্রেণীর বেশিরভাগ শিক্ষার্থী নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা অবস্থায় পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে। এই মুহূর্তে ফরম পূরনের জন্য বকেয়া ‘নির্ধারিত ফি’ আদায় অযৌক্তিক। যেহেতু গত দশ মাস কলেজের আবাসিক হলগুলো বন্ধ রয়েছে, তাই বকেয়া হল ভাড়া দিতে নারাজ তারা।
এছাড়াও পরিবহন, চিকিৎসা, লাইব্রেরিসহ অন্যান্য সুবিধা শিক্ষার্থীরা যেহেতু ভোগ করেনি, তাই এসব ফি আদায়ও সম্পূর্ন অযৌক্তিক বলে শিক্ষার্থীদের দাবি। সাধারণ শিক্ষার্থীদের এমন দাবির সাথে একাত্মতা পোষণ করেছে ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দরাও।
ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য শাহীন সাদেক মির্জা বলেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে এমনিতেই অনেক শিক্ষার্থীর আর্থিক অবস্থা খারাপ এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের থেকে হল ফি সহ অন্যান্য ফি নেয়া অযৌক্তিক। হল না খুলে পরীক্ষা দেওয়ায় শিক্ষার্থীরা যেখানে ঢাকায় থাকার জায়গা নিশ্চিত করতে পারছে না সেখানে সব ধরনের ফি দেয়া তাঁদের পক্ষে অসম্ভব। কলেজ প্রশাসনের প্রতি আহ্বান করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে এসব ফি কমাতে হবে।
ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য সাদ্দাম হোসেন বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের কথা বিশেষ বিবেচনায় এনে টিউশন ফি কমাতে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি থাকবে।
যুগ্ম আহবায়ক ফুয়াদ হাসান বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে সবসময় থাকবে। আমরা চাই এই সংকটকালীন সময়ে ফি কমিয়ে কলেজ প্রশাসন যেন শিক্ষার্থীদের পাশে থাকে৷ এসব ফি কমানোর ব্যাপারে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে কলেজ প্রশাসনকে আনুষ্ঠানিক ভাবে স্মারকলিপি দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে গত বছরের ১৮ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সরকারি নির্দেশনার পরই বন্ধ হয়ে যায় ঢাকা কলেজ। তার একদিন পরই কলেজের সব আবাসিক হল বন্ধ ঘোষণা করে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
প্রায় দশ মাস বন্ধ থাকার পর জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এর আগেই বকেয়া সকল ফি পরিশোধ করে ফরম পূরণ করতে হবে। করোনকালে দীর্ঘদিনের জমে থাকা ফি পরিশোধ করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।