ইবি শিক্ষককে প্রাণনাশের হুমকি সহকারী প্রক্টরের

সহকারী প্রক্টর ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এমএম নাসিমুজ্জামান
সহকারী প্রক্টর ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এমএম নাসিমুজ্জামান  © টিডিসি ফটো

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল-ফিকহ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আলতাফ হোসেনকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এমএম নাসিমুজ্জামান।

শুক্রবার বেলা ১২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকার বাগান পরিচর্যার সময় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এদিন বিকালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষক।

জানা গেছে, পদ্মা ভবনের পাশে সবজি বাগান পরিচর্যার কাজ করছিলেন আল-ফিকহ এন্ড লিগ্যাল স্টডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আলতাফ হোসেন। এসময় হঠাৎ করে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নাসিমুজ্জামান তাকে পাশের ভবন থেকে অশ্রাব্য ভাষায় গালমন্দ করেন।

এক পর্যায়ে দ্বিতীয় তলা থেকে নেমে শিক্ষক আলতাফের উদ্দেশ্যে লাঠি হাতে মারতে তেড়ে আসেন এবং তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেন। পরে ঘটনাস্থলে অন্যান্য শিক্ষকদের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

সূত্র বলছে, শিক্ষক নাসিমুজ্জামান দীর্ঘদিন ধরে আবাসিক এলাকায় শিক্ষক-কর্মকর্তাদের মাঝে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করে আসছে। কিন্তু শিক্ষক আলতাফ হোসেন তার এ কাজের প্রশ্রয় না দেওয়ায় মনক্ষুন্ন ছিলেন শিক্ষক নাসিম। এসব ঘটনার জেরে শিক্ষক আলতাফ হোসেনর উপর চড়াও হয়ে লাঠি হাতে মারতে উদ্যত হন তিনি।

জিডি সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকায় একই ভবনে বসবাসরত মেঘনা ভবনের পেছনে এমএম নাসিমুজ্জামান পূর্ব শত্রুতার জেরে হত্যার উদ্দেশ্যে তেড়ে আসে। এসময় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।

এদিকে অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. হারুন উর রশিদ আসকারীর ভগ্নিপতি ও বিভাগের সিনিয়র প্রফেসর ড. জাকারিয়া রহমানের পৃষ্ঠপোষকতায় ক্যাম্পাসে ও আবাসিক এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করে আসছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে আলতাফ হোসেন বলেন, ‘তিনি এর আগেও আমাকে বিভিন্নভাবে হেনস্তা করার চেষ্টা করেন। আমি সম্মানার্থে বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছিলাম। আজ তিনি আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন ও মেরে ফেলার হুমকি দেন। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। থানায় জিডি করেছি। প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানচ্ছি।’

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক নাসিমুজ্জামানের কাছে জাননে চাইলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ভুক্তভোগী শিক্ষক জিডি করেছেন। আমরা কোর্টে পাঠাবো। কোর্ট অনুমুতি দিলে আমরা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিব।’

প্রক্টর ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। এমন ঘটনা কখনও কাম্য নয়। উপাচার্যের নির্দেশে বিষয়টি খতিয়ে সহাবস্থান নিশ্চিত করা হবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘এটি একটি অপ্রত্যাশিত ঘটনা। প্রক্টরের সাথে কথা বলেছি আমি। তিনি আগামীকাল বিষয়টি নিয়ে বসবেন। উভয়ের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে, আশা করছি ঠিক হয়ে যাবে।’


সর্বশেষ সংবাদ