আত্মহত্যার মিছিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭ শিক্ষার্থী, ১১ জনই ঢাবির

  © টিডিসি ফটো

প্রাণঘাতী করোনার ভয়াল থাবায় ঘরবন্দি সময়েও বছরজুড়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের আত্মহননের রূপ ভয়ংকরভাবে দেখা গেছে। পারিবারিক কলহ, প্রেমঘটিত জটিলতা, বেকারত্ব, নি:সঙ্গতা, মানসিক চাপ, তীব্র বিষন্নতাকে কেন্দ্র করে ২৭ শিক্ষার্থী আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। এর মধ্যে ১১ জনই ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষার্থী। সর্বশেষ এ মিছিলে যুক্ত হন ঢাবির প্রাণিবিদ্যা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র তৌহিদুল ইসলাম সিয়াম। ২৭ ডিসেম্বর সকালে ওই ছাত্রের বাসায় ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন।

সমাজবিজ্ঞানী ও মনোবিজ্ঞানীরা মনে করেছেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ নিয়ে শিক্ষার্থীরা শঙ্কিত। আর সমাজে ধর্ষণ, আত্মহত্যার ন্যায় নানান অপরাধ বাড়ছে। তাদের মতে, লকডাউনে অধিকাংশ সময় বাড়িতে বসে সময় কাটালে এরকম সংকটের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। এসব রোধে পারিবারিক বন্ধন আরও দৃঢ় করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। 

চাকরি না পাওয়ায় তরুণ সেনের আত্মহত্যা
৮ এপ্রিল তরুণ সেন নামের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গ্র্যাজুয়েট আত্মহত্যা করেন। তিনি দর্শন বিভাগে ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ছিলেন। সরকারি চাকরি না পাওয়ায় এবং চাকরির বয়স শেষ হওয়ায় আত্মহত্যা করেন তরুণ সেন। জানা গেছে, করোনাকালে তরুণ সেন বেকারত্ব এবং পারিবারিক অভাব অনটনে নিয়ে হতাশায় ছিলেন। তিনি ঘুমের ঔষধ খেয়ে আত্মহত্ম্যা করেন। গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলায়।

সুমাইয়া হত্যা নাকি আত্মহত্যা?
২২ জুন শ্বশুরবাড়ি থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সুমাইয়া খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সুমাইয়া নাটোর সদরের হরিশপুর বাগানবাড়ি এলাকার মোস্তাক হোসাইনের স্ত্রী। ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের এ শিক্ষার্থী মাস্টার্স পরীক্ষা শেষে ফলাফলের অপেক্ষমান ছিলেন। এসময়ের মধ্যে তিনি বিসিএস ও সরকারি চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বলে জানা গেছে।

‘আল বিদা’ স্ট্যাটাস দিয়ে ইমাম হোসাইনের আত্মহত্যা
১৭ আগস্ট নিজ বাড়িতে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ইমাম হোসাইন নামের এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেন। এর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তিনি ‘আল-বিদা’ লিখে স্ট্যাটাস দেন ওই শিক্ষার্থী। তার বন্ধুরা জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে ডিপ্রেশনে ছিলেন। জানা গেছে, ইমাম হোসাইনের বাড়ি বরিশাল জেলার উজিরপুর থানায়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। থাকতেন কবি জসীম উদদীন হলে।

৯ তলা থেকে পড়ে সাবেক ছাত্র আসিফের আত্মহত্যা
১১ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাঁঠালবাগানের একটি বাসার ৯ তলার বারান্দা থেকে পড়ে আসিফ ইমতিয়াজ খান জিসাদ নামে ঢাবির সাবেক এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। তবে ঢাবির ওই শিক্ষার্থীর পরিবার এবং বন্ধুদের দাবি, তাকে বারান্দা থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আসিফ ঢাবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০০৫-২০০৬ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন।

চিরকুট লিখে আত্মহত্যা কামরুল বাহার
কামরুল বাহার ঢাবির ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের ২০১৩-১৪ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি অমর একুশে হলের আবাসিক ছাত্র। তার বাড়ি ফেনীতে। কামরুল জনতা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার হিসেবে সম্প্রতি নিয়োগ পেয়ে যোগদান করেন। তার পরিবার এবং বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২১ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ফার্মগেটের একটি আবাসিক হোটেল থেকে ওই ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে তিনি একটি চিরকুট লিখে রেখে গেছেন। সেখানে বড় ভাইয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি।

পারিবারিক কলহে ঢাবির সাবেক ছাত্র জাকারিয়ার আত্মহনন!
পারিবারিক কলহের জেরে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সাবেক ছাত্র জাকারিয়া বিন হক শুভ আত্মহত্যা করেছেন। ২৪ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডের বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।

তীব্র বিষন্নতা থেকে শুভজ্যোতির আত্মহত্যা
তীব্র বিষন্নতা ও মানসিক চাপ থেকেই আত্মহত্যার পথ বেঁচে নেন ঢাবির দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শুভজ্যোতি মন্ডল (২২)। ১৪ অক্টোবর বিকেলে সংবাদ পেয়ে আদাবর মোহাম্মদীয়া হাউজিং সোসাইটির ৪ নম্বর রোডের ১৪১ নম্বর বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত শুভজ্যোতি ঢাবির চারুকলা অনুষদের গ্রাফিক ডিজাইন বিভাগে ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী।

রুম্পার আত্মহত্যার নেপথ্যে ‘প্রেম’
পছন্দের ছেলেকে বাদ দিয়ে অন্যের সঙ্গে জোর করে বিয়ে দেয়ার প্রস্তুতি নেয়ায় ২৬ অক্টোবর আত্মহত্যা করেন ঢাবির ইংরেজি বিভাগের ছাত্রী ফারিহা তাবাসসুম রুম্পা। বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষে পড়ুয়া রুম্পার গ্রামের বাড়ি পাবনা জেলার ঈশ্বরদী থানাধীন দীঘায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন নাহার হলের আবাসিক ছাত্রী তিনি।

ঢাবির আইবিএ ছাত্র ইশরাকের আত্মহত্যা
১২ নভেম্বর আত্মহত্যা করেছেন অনিন্দ ইশরাক নামে ঢাবির এক শিক্ষার্থী। তিনি আইবিএ ২২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।

পারিবারিক কলহের জেরে ঢাবির সাবেক ছাত্রীর আত্মহত্যা
২৫ ডিসেম্বর রাতে রাজধানীর আজিমপুর স্টাফ কোয়ার্টারের নিজ কক্ষে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন রুমানা ইয়াসমিন। তিনি পুষ্টিবিজ্ঞানের সাবেক ছাত্রী ছিলেন। এছাড়া ৩৭তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে উত্তীর্ণ হয়ে আনসার বাহিনীর সহকারী পরিচালক হিসেবে ট্রেনিংরত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি বগুড়ায়।

আত্মহত্যার মিছিলে ঢাবির সর্বশেষ সিয়াম
বছরজুড়ে আত্মহত্যার  মিছিলে সর্বশেষ যুক্ত হন প্রাণিবিদ্যা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র তৌহিদুল ইসলাম সিয়াম। ২৭ ডিসেম্বর সকালে ওই ছাত্রের বাসায় ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন।

গলায় ওড়না পেঁচিয়ে চবির সাবেক ছাত্রীর আত্মহত্যা
২০ জুলাই চট্টগ্রাম মহানগরীর দেওয়ানবাজার এলাকায় নিজ বাসায় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে নীলম ধর অর্পা (২৩) নামে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী আত্মহত্যা করেন। অর্পা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী ছিলেন। তিনি ২০১৯ সালে লোকপ্রশাসন থেকে মাস্টার্স পাশ করে বের হন। বর্তমানে তিনি সরকারি চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।

বশেমুরবিপ্রবি ২ ছাত্রীর আত্মহত্যা
১০ জুলাই পারিবারিক কলহের জেরে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) সাদিয়া কুতুব নামের এক ছাত্রী আত্মহত্যা করেন। তিনি সমাজবিজ্ঞান দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। ওইদিন দুপুরে গোপালগঞ্জে তাঁর নিজ বাড়িতে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। 

১১ অক্টোবর মনীষা হিরা নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। হিরা ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। ওইদিন সকালে গোপালগঞ্জের সবুজবাগে তাদের ভাড়া বাসার কক্ষে মনীষার ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পায় তার বাবা-মা।

আত্মহত্যার মিছিলে প্রেমিকযুগল
১ আগস্ট সুপ্রিয়া দাস নামের বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তিনি গণিত বিভাগের চতুর্থ ব্যাচের ছাত্রী ছিলেন। ওইদিন সন্ধ্যা ৬টায় ফারিদপুরের নিজ বাসায় তিনি আত্মহত্যা করেন। এর আগে ১৫ জুন সুপ্রিয়ার প্রেমিক তপু মজুমদার আত্মহত্যা করে। তার সহপাঠীরা জানান, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) প্রাক্তন ছাত্র তপু মজুমদারের সঙ্গে উচ্চমাধ্যমিক থেকেই প্রেমের সম্পর্ক ছিল সুপ্রিয়ার। দুজনের বাসা একই এলাকায়। উভয় পরিবার মেনে নিয়েছিল দুজনের সম্পর্ক। করোনার মধ্যেও সুপ্রিয়ার বাসায় এসেছিল তপু মজুমদার।

গলায় ফাঁস দিয়ে রাবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
১৯ ডিসেম্বর দেবজ্যোতি বসাক পার্থ নামে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন । পার্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

গলায় ফাঁস দিয়ে শাবিপ্রবি ছাত্রীর আত্মহত্যা
৬ আগস্ট গলায় ফাঁস দিয়ে সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। তার নাম তোরাবি বিনতে হক। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি নেত্রকোনার চল্লিশা ইউনিয়নের মোগরাটিয়া গ্রামে।

শেকৃবি ছাত্রীর আত্মহত্যা
৯ নভেম্বর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) জুলহাস সিলভিয়া নামে এক ছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন। ওইদিন যশোরের নতুন খয়েরতলা এলাকার ভাড়া বাসায় তিনি আত্মহত্যা করেন। জানা যায়, জুলহাস সিলভিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী এবং কৃষকরত্ন শেখ হাসিনা হলের আবাসিক ছাত্রী ছিলেন। তার বাবার নাম ইরফান আলী। 

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর আত্মহত্যা
১৩ নভেম্বর রাজধানীর উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টরের একটি বাসায় খন্দকার ফাকিহা নুর (২২) নামে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে বলে জানিয়েছেন স্বজনরা। ওইদিন বেলা ১১ টার দিকে অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

‘হতাশায়’ জাবি ছাত্রীর আত্মহত্যা
৩ নভেম্বর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ফাতেমা এলিন ফুজি আত্মহত্যা করেছেন।ওইদিন রাত ১২টার দিকে রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানার জাদুঘর মোড় এলাকায় ওই ছাত্রী তার এক বান্ধবীর মেসে গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে জানা গেছে। ফুজির গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলায়। ফুজির বান্ধবী জানান, ফুজির মা মারা গেলে তার বাবা আরেকটি বিয়ে করেছেন। সৎমা ও বাবার সঙ্গে পারিবারিক ঝামেলার কারণে খুবই হতাশায় ভুগছিল ফুজি।

ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে শাবিপ্রবি ছাত্রীর আত্মহত্যা
৩০ সেপ্টেম্বর বগুড়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আছিয়া আক্তার নামে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) এক ছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। রাতের কোন এক সময় আছিয়া আক্তার নামের ওই শিক্ষার্থী গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁসিতে ঝুলেন। নিহত আছিয়া শাবিপ্রবিবাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি বগুড়ার সদর থানার মঠুরা গ্রামের মু. জালাল উদ্দীনের মেয়ে। তিন ভাই-বোনের মধ্যে আছিয়া দ্বিতীয়।

২২ হাজী দানেশ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর আত্নহত্যা
১৯ সেপ্টেম্বর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী সুমন রায় সিধু (২৩) আত্মহত্যা করেছেন। জানা গেছে, পরিবারের অর্থনৈতিক দূরাবস্থার কারণে সুমন দীর্ঘদিন থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। ঘটনার আগের দিন সুমন ১৮ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) তার মার কাছে কিছু টাকা চায়। টাকা না পেয়ে অভিমান করে সে। পরিবারের ধারণা ওই ঘটনার জেরেই আত্মহত্যা করেছে সুমন। 

অনলাইন পরীক্ষা নিয়ে মনোমালিন্যের জেরে ড্যাফোডিল ছাত্রের আত্মহত্যা
১০ জুন বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় রাজধানীর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের স্নাতকের শিক্ষার্থী রবীন্দ্র চন্দ্র বর্মণ (২২) ও তাঁর মা সরস্বতী বর্মণ (৪৭) বিষপানে আত্মহত্যা করেন। রবীন্দ্র চন্দ্রের বাবা নিতাই চন্দ্র বর্মণ বলেন, অনলাইনে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা দিতে না চাওয়ায় আমি আমার ছেলেকে একটু বকাঝকা করি; আর বিষয়টি নিয়ে আমার স্ত্রীর সাথেও রাতে আমার ঝগড়া হয়। এই ক্ষোভেই আমার ছেলে ও স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন।

৯ তলার ছাদ থেকে লাফিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর আত্মহত্যা
১ ডিসেম্বর নির্মাণাধীন ৯ তলা ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে জান্নাতুল হাসিন (২৩) নামে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন। ঘটনার দিন দুপুরে কুমিল্লা নগরীর ঝাউতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত জান্নাতুল হাসিন ওই এলাকার ইদ্রিস মেহেদীর মেয়ে। তিনি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি (বিইউবিটি) থেকে স্নাতক শেষ করে বর্তমানে ঢাকার মিরপুরে মার্কেন্টাইল ব্যাংকে ইন্টার্নশিপ করছিলেন।

লজ্জায় ইবি ছাত্রী তিন্নির আত্মহত্যা 
২ অক্টোবর ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার শেখপাড়া গ্রামের নিজ বাড়িতে আত্মহত্যা করেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ছাত্রী উলফাত আরা তিন্নি। ওই শিক্ষার্থীর পরিবারের অভিযোগ, তার বড় বোনের সাবেক স্বামীর পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে লজ্জায় আত্মহত্যা করেছেন। তিন্নি শেখপাড়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মৃত ইউসুফ আলীর কন্যা। সে ইসলামী ইউনিভার্সিটির হিসাববিজ্ঞান বিভাগের মেধাবী ছাত্রী।

আত্মহত্যার চিরকুট লিখে খুবি ছাত্রের আত্মহত্যা
চিরকুট লিখে আত্মহত্যা করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান ডিসিপ্লিনের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী আব্দুর রহিম। ৩ সেপ্টেম্বর মানিকগঞ্জ জেলা শহরের দক্ষিণ সেওতা এলাকায় নিজ বাড়িতে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেন তিনি। ধারণা করা হচ্ছে, প্রেমঘটিত সম্পর্কে অবনতির কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। মৃত্যুর আগে এক চিরকুটে লিখে গেছেন, ‘আমার পরিচিত মানুষগুলোকে আমার মৃত্যুর খবরটা জানিয়ে দিও’। লেখাটি আব্দুর রহিমের নিজ হাতের লেখা বলে নিশ্চিত করেছেন তাঁর সহপাঠী এবং পরিবারের সদস্যরা।


সর্বশেষ সংবাদ