১৯ ডিসেম্বর ২০২০, ১০:৪০

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার মান বণ্টন ও প্রশ্ন পদ্ধতি নিয়ে সিদ্ধান্ত আজ

১৯ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ পরীক্ষার পদ্ধতি নির্ধারণ করা হবে আজ  © ফাইল ফটো

চলতি বছর ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষায় বিভাগ পরিবর্তনের জন্য আলাদা ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা না নেয়ার সিদ্ধান্তই বহাল রেখেছে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটি। গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষার মান বণ্টন ও পরীক্ষা পদ্ধতিসহ এ সংক্রান্ত আজ শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

জানা গেছে, গুচ্ছ পদ্ধতিতে বিজ্ঞান, বাণিজ্য এবং মানবিক এই তিনটি ইউনিটেই ভর্তি পরীক্ষা দিতে হবে ভর্তিচ্ছুদের। এ ইউনিটগুলোর মাধ্যমেই বিভাগ পরিবর্তন করতে হবে শিক্ষার্থীদের। আজকের বৈঠক শেষে এ বিষয়ে চূড়ান্তভাবে জানিয়ে দেয়া হবে বলে জানা গেছে।

এ প্রসঙ্গে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মীজানুর রহমান শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষায় বিভাগ পরিবর্তনের জন্য আলাদা ইউনিটে ভর্তি না নেয়ার ব্যাপারে অনেক আগেই জানানো হয়েছে। নতুন করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানোর কিছু নেই।’

বিভাগ পরিবর্তনের জন্য আলাদা ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিজ্ঞান, বাণিজ্য এবং মানবিক এই তিনটি ইউনিটেই ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হবে। এ ইউনিটগুলো থেকেই শিক্ষার্থীরা বিভাগ পরিবর্তন করতে পারবে। বিভাগ পরিবর্তনের যে ইস্যু তৈরি হয়েছে এর জন্য কোচিং সেন্টার দায়ী। কেননা তারা সারা বছর শিক্ষার্থীদের কোচিং করিয়েছে। তারা সাধারণ জ্ঞান পড়িয়েছে। তবে এইচএসসি’র পাঠ্যপুস্তকে সাধারণ জ্ঞান নেই। শিক্ষার্থীদের এইচএসসিতে যে বিষয়গুলো পড়ানো হয়েছে তার ভিত্তিতেই পরীক্ষা দিতে হবে।’

এর আগে গত গত ২৬ ফেব্রুয়ারি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে তিনটি গুচ্ছে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছিল। পরবর্তীতে গত ১ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাথে বৈঠকে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়। আজ শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা কমিটির বৈঠকে পরীক্ষার মান বণ্টন, প্রশ্ন পদ্ধতিসহ বিস্তারিত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

যে ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তির সিদ্ধান্ত হয়েছে সেগুলো হলো- ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।