বারবার বঙ্গবন্ধুর নামের বানান ভুল করছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ডেস্ক ক্যালেন্ডারে বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা, শেখ রাসেলের নামের বানানে ভুলের রেষ কাটতে না কাটতেই এবার প্রধান ফটকের সামনে টাঙানো ব্যানারেও বঙ্গবন্ধুর নামের বানানে ভুল দেখা গেছে। এদিকে ব্যানারের ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এটি নিয়ে বেশ আলোচনা-সমালোচনার শুরু হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে টাঙানো ব্যানারে ‘মুজিবুরের’ স্থলে ‘মজিবুর’ লেখা দেখা গেছে। এর আগে ডেস্ক ক্যালেন্ডারে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার নামের বানান ভুল করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম আব্দুল লতিফকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছিল।
গত ৭ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ইবির ২০২০-২০২১ সালের ডেস্ক ক্যালেন্ডারের বর্ডারের রং চূড়ান্ত করার জন্য তা উপাচার্যের কাছে উপস্থাপন করেন। এসময় উপাচার্য ক্যালেন্ডারের বিভিন্ন জায়গায় বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী ও শেখ রাসেলের নামের বানান ভুল দেখতে পান। পরে বিষয়টি নিয়ে তাকে আগামী সাতদিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
এদিকে নতুন করে প্রধান ফটকের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের টাঙানো ব্যানারের ছবিটি সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। বিষয়টি নিয়ে রেজাউল শিমুল নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, প্রকাশ্যে এমন ভুল শাস্তিযোগ্য। বঙ্গবন্ধুর চেতনা যারা ধারণ করে, তাদের কাছে এমন ভুল মেনে নেয়া কষ্টকর। এমন জঘন্য ভুলের শাস্তি প্রয়োজন।
জান্নাতুল ফেরদৌস নামের এক শিক্ষার্থী ফেসবুকে লিখেছেন, যারা কাজটি করেছে তাদের ডিমোশন দেয়া হোক। হাসিব লেখেন, এমন চেতনা স্বয়ং বঙ্গবন্ধু আপনাদের দেখলে লজ্জা পেতেন। জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
দেখুন: বিজয় দিবসকে স্বাধীনতা দিবস বলল হাবিপ্রবি
নাসির নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, এ ধরনের কাজের জন্য কমিটি করে দিয়ে থাকে। কমিটির খামখেয়ালীপনা ও দায়িত্বে অবহেলার কারণে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর নামের বানান ভুল করে তাকে অসম্মান করা হচ্ছে। এটা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না।
বিষয়টি দ্রুত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিশ্বিবিদ্যালয় প্রশাসনের নজরে আসে। পরে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে আনসার সদস্যদের সহযোগিতায় ব্যানারটি সরিয়ে ফেলা হয়। তবে অনাকাঙ্খিত নতুন এ ভুলের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্ম্মণ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমিও বিষয়টি ফেসবুকেই দেখেছি। এটি আমাদের জন্য লজ্জাজনক একটা ব্যাপার। তবে এটি কারিগরি ত্রুটির কারণে হতে পারে। এমন ভুলের জন্য সমালোচনা না করে স্বাভাবিকভাবে নেয়ার অনুরোধ করছি।