কুবির শিক্ষক সমিতি নির্বাচনে নীল দলের ইশতেহার ঘোষণা
- কুবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২০, ০২:৪১ PM , আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২০, ০২:৪৪ PM
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি কার্যনির্বাহী পরিষদ-২০২১ নির্বাচন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষকদের প্যানেল নীল দলের শামিম-কামাল অংশ নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছে।
বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে তারা এ ইশতেহার প্রকাশ করে। এসময় চলমান কমিটির ১৮টি বাস্তবায়িত প্রতিশ্রুতি ও ২৮টি নতুন প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করা হয়।
উল্লেখযোগ্য প্রতিশ্রুতিগুলোর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের উচ্চশিক্ষার জন্য সরকারি সহায়তায় বিশেষায়িত ‘জয়-বাংলা স্কলারশিপ’ প্রবর্তনের বিষয়ে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ ও বিদ্যমান ‘বঙ্গবন্ধু স্কলারশিপ’ ও প্রধানমন্ত্রী স্কলারশিপে শিক্ষকদের সুযোগ সম্প্রসারণ, শিক্ষকদের জন্য বিদ্যমান ডরমিটরির প্রয়োজনীয় সংস্কার এবং নির্মাণাধীন ডরমিটরিরিতে সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ, কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ সংলগ্ন আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণেরব কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ, শিক্ষকদের জন্য মাসিক গবেষণা ভাতা ও ইউজিসি কর্তৃক প্রদত্ত গবেষণা ভাতা ২ কোটি টাকায় উন্নীত করার উদ্যোগ গ্রহণ, বিশ্ববিদ্যালয়কে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনে অন্তর্ভুক্ত করা, আধুনিক ও মানসম্মত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল কলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ, পুর্ণাঙ্গ আধুনিক মেডিকেল সেন্টার স্থাপন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রাম রোডে রবি এবং বৃহঃস্পতিবার কমিউনিটি বাস সার্ভিস চালুকরণ এবং শিক্ষার্থীদের আবাসন এ পরিবহণ ব্যবস্থার উন্নয়নে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ, ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত চার লেন বিশিষ্ট সড়ক নির্মাণের জন্য প্রশাসনের মাধ্যমে উদ্যোগ গ্রহণ, ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক উন্নয়নে টিএসসি নির্মাণের কার্যকর
উদ্যোগ গ্রহণ, আধুনিক লাইব্রেরি স্থাপনের কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ ইত্যাদি।
প্রসঙ্গত, আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত ৩০ নভেম্বর শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় ১৩ ডিসেম্বর নির্বাচনের দিন ধার্য করা হয়। তবে শিক্ষক সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠনের বাধ্যবাধকতা থাকায় একই দিন নির্বাচন কমিশন গঠনে কার্যনির্বাহী সভা ডাকা হলেও তাতে সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. স্বপন চন্দ্র মজুমদারের অনুসারীরা অংশ নেয়নি।
পরে সভাপতি মো: রশিদুল ইসলাম শেখপন্থীরা নির্বাচন কমিশন গঠন করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৩ ডিসেম্বর পাল্টা কমিশন গঠন করেন সাধারণ সম্পাদকপন্থীরা।
এছাড়া ৬ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু পরিষদের কাজী ওমর- জিয়া কমিটিকে মেয়াদর্ত্তীণ দাবি করে তাদের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে ড. জ. এম. মনিরুজ্জামান কে আহ্বায়ক এবং ড. মো: মোকাদ্দেস-উল-ইসলামকে সদস্য সচিব করে আহ্বায়ক কমিটি করে শিক্ষকদের একাংশ। পরে ৮ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু পরিষদের দু’পক্ষই নীলদল আখ্যা দিয়ে পাল্টাপাল্টি প্যানেল ঘোষণা করে।