কুবিতে ইউএন উইমেনের যৌন হয়রানি বন্ধে ভার্চুয়াল কর্মশালা
- কুবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২০, ০৫:৫৫ PM , আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০২০, ০৫:৫৫ PM
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ইউএন উইমেনের উদ্যোগে নারীর প্রতি যৌন হয়রানি ও সহিংসতা প্রতিরোধে ‘কমব্যাটিং জেন্ডার বেজ্ড ভায়োলেন্স’ প্রজেক্টের আওতায় ‘অনলাইন ভ্যালিডেশন ওয়ার্কশপ অন জিরো টলারেন্স টু সেক্সুয়াল হ্যারেজমেন্ট পলিসি’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার দুপুরে প্রজেক্ট ম্যানাজার এম. এম. জামিলুর রহমান এবং প্রোগ্রাম বিশ্লেষক ইরফাত আরা ইভার সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী।
উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে ছিলেন ইউএন উইমেনের কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ শকো ইশিকাও, স্বাগত বক্তা হিসেবে ছিলেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. আসাদুজ্জামান, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের।
এছাড়া অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন প্রজেক্টের উন্নয়ন পরামর্শকদাতা ফারজানা সুলতানা, ডব্লিউ.সি.এ. বাংলাদেশের নির্বাহী সমন্বয়ক জিনাত আরা হক এবং ইউএন উইমেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যাকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান ও লোকপ্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌস। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ করে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউএন উইমেনের কার্যক্রম প্রশংসনীয়। প্রথম থেকেই আমরা তাদের কার্যক্রমে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে আসছি এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলছি যে আমরা নারী ক্ষমতায়নের বিষয়ে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখব। ইউএন উইমেনের কাছে কৃতজ্ঞ যে তারা বাংলাদেশের তিনটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছে তন্মধ্যে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় একটি। সর্বপরি আমরা সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করছি।
ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ইউএন উইমেনকে সাধুবাদ জানাই তারা নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে চমকপ্রদ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সমাজের প্রতিটি স্তরে নারী ক্ষমতায়ন অত্যন্ত জরুরী। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আমরা সংস্থাকে যে কোন সহযোগিতা করার জন্য প্রস্তুত থাকব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, ইউ এন উইমেন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিমধ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে। যা নারী শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে সাড়া জাগিয়েছে। শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ে আগের থেকে সচেতনতা অবলম্বন করেছে। বিশেষত নারী শিক্ষার্থীরা এখন যে কোন সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে। যেটি পজিটিভ লক্ষন। তাদের প্রতি আমাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।