শিক্ষক সমিতি নির্বাচন: ২ কমিশন থেকে ৫৪টি মনোয়ন গ্রহণ
- কুবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২০, ০৬:৩৫ PM , আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২০, ০৬:৩৫ PM
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক সমিতির নির্বাচন নিয়ে শিক্ষকদের দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি নির্বাচন কমিশন গঠনের পর এবার পৃথক পৃথক নির্বাচন কমিশন থেকে মনোনয়ন সংগ্রহ করছেন পদ প্রত্যাশীরা। দুইটি নির্বাচন কমিশনের প্রধানই মনোনয়ন সংগ্রহের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, গত ৩০ নভেম্বর শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে আগামী ১৩ ডিসেম্বর নির্বাচনের লক্ষ্যে রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. রায়হান উদ্দিনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নকীবুন নবী এবং ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. সিদ্দিকুর রহমানকে নির্বাচন কমিশনার করে কমিশন গঠন করা হয়। সেই নির্বাচন কমিশন ২ ডিসেম্বর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।
এরপর ৩ ডিসেম্বর নির্বাচনের বৈধতার বিষয়ে প্রশ্ন তুলে সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বাধীন একাংশ গণমাধ্যমে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আইনুল হককে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, ফার্মেসী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. এনামুল হক এবং রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. জুলহাস উদ্দিনকে নির্বাচন কমিশনার করে পাল্টা আরেকটি নির্বাচন কমিশন গঠনের ঘোষণা দেন।এই কমিশন ৫ ডিসেম্বর তফসিল ঘোষণা করেন।
তফসিল অনুযায়ী দুই নির্বাচন কমিশনই মনোনয়ন সংগ্রহের জন্য ৭ ডিসেম্বর ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করেন। এদিকে পাল্টা গঠিত এই কমিশনেরও বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রতিবাদলিপি প্রকাশ করেন সভাপতির নেতৃত্বাধীন শিক্ষকদের এ অংশ।
মনোনয়ন সংগ্রহের বিষয়ে ৩০ নভেম্বর ঘোষিত হওয়া কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. রায়হান উদ্দিন বলেন, আমাদের কাছ থেকে নীল দলের ১৮ টি এবং সাদা দলের পক্ষে ৪ টি মনোনয়ন সংগ্রহ করা হয়েছে।
এদিকে ৩ ডিসেম্বর হওয়া কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার আইনুল হক বলেন, আমাদের কাছ থেকে সর্বমোট ৩২টি মনোনয়ন সংগ্রহ করা হয়েছে। এরমধ্যে একজন শিক্ষক ১৭টি, অন্য একজন ১৫টি মনোনয়ন নিয়েছেন।
তবে শিক্ষক সমিতির দুই পক্ষের এমন পাল্টাপাল্টি কমিশন করার ঘটনায় সাধারণ শিক্ষকদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। একই দিনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে কে কোথায় ভোট দিবে এ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্ধে ভুগছেন শিক্ষকরা। এছাড়া একই স্থানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক আক্ষেপ প্রকাশ করে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, একবার নির্বাচন কমিশন গঠন হয়ে যাওয়ার পর পাল্টা আরেকটি নির্বাচন কমিশন গঠন হওয়া এবং পৃথক পৃথক কমিশন হতে মনোনয়ন সংগ্রহের ঘটনা সকল শিক্ষকের জন্যই বিব্রতকর। শিক্ষকদের মধ্যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে এমন বিভেদ তৈরী করা হয়েছে।