তৃতীয় দিনের মতো আন্দোলনে কুবি কর্মচারীরা

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে মানবন্ধন
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে মানবন্ধন   © টিডিসি ফটো

কর্মচারীদের আপগ্রেডেশন নীতিমালা সংশোধন, ওভারটাইম কর্ম ঘন্টা বৃদ্ধি এবং স্কেল অনুযায়ী আর্থিক সুবিধা দিয়ে নীতিমালা প্রণয়ন ও কর্মচারীদের উচ্চশিক্ষার প্রশাসনিক অনুমতি দেয়াসহ মোট আট দফা দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো আন্দোলন করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়(কুবি) কর্মচারী সমিতি।

আজ মঙ্গলবার(২৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে নয়টা থেকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূূূচি পালন করেন তারা।

এতে কর্মচারী নেতারা বলেন, আমাদের দাবিগুলো আমাদের প্রাপ্য অধিকার। আমাদের অধিকার আমাদের দিতে হবে। এখানে কোন বৈষম্য করা যাবে না। প্রয়োজনে নীতিমালা সংশোধন করতে হবে।

পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন অবস্থানস্থলে এসে কর্মচারীদের দাবিগুলো বাস্তবায়নের আশ্বাস দিলে তারা আন্দোলন স্থগিত করেন। এসময় ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ্র দেব উপস্থিত ছিলেন।

এসময় কর্মচারী সমিতির সভাপতি দীপক চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘আমাদেরকে উপাচার্য এবং রেজিস্ট্রার মহোদয় আশ্বাস দিয়েছেন যে, কাল সিন্ডিকেটে আমাদের আপগ্রেডেশন নীতিমালা সংশোধনের বিষয়ে আলোচনা হবে। এছাড়া অন্য যে দাবিগুলো আছে সেগুলো কাল বসে আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন। সেজন্য আমরা আন্দোলন স্থগিত করেছি। তবে দাবি আদায় না হলে আমরা আবার আন্দোলনে যাবো।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো: আবু তাহের বলেন, ‘আগামীকালের সিন্ডিকেটে আপগ্রেডেশন নীতিমালা সংশোধনের বিষয়ে একটি কমিটি করা হবে এবং পরবর্তীতে সে আলোকে সুন্দরভাবে একটি নীতিমালা তৈরি করা হবে। কর্মচারীদের আরেকটি দাবি যেটা ওভারটাইমের ক্ষেত্রে বেসিকহারে বেতন দেয়ার বিষয়ে। কিন্তু ইউজিসিও ঘন্টা হিসেবে বেতন দেয়। সে হিসেবে আমরাও ঘন্টার বাইরে যেতে পারবো না।’

এর আগেও গত রবি ও সোমবার আট দফা দাবিতে আন্দোন করে কর্মচারীরা। তাদের আট দফা দাবি গুলো হলো- জেষ্ঠ্যতার ভিত্তিতে শূন্যপদে নিয়োগে মৌখিক পরীক্ষা পর্যন্ত অংশগ্রহণকৃত আপগ্রেডেড অভ্যন্তরীন সকল প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়া, কর্মচারীদের জন্য যুগোপযোগী নীতিমালা প্রণয়ণ ও সংশোধন, ল্যাব টেকনেশিয়ানদের প্রস্তাবিত সময়সীমা নীতিমালায় সংযুক্ত করা, যাদের বিভাগীয় মামলা ও সাময়িক বহিষ্কারাদেশ আছে তাদের সাধারণ ক্ষমা করা।

এছাড়া ওভারটাইম কর্ম ঘন্টা বৃদ্ধি ও স্কেল অনুযায়ী আর্থিক সুবিধা দিয়ে নীতিমালা প্রণয়ন, কর্মচারীদের উচ্চশিক্ষার প্রশাসনিক অনুমতি এবং সার্টিফিকেট নথিভুক্ত করণ করা, যথাসময়ে সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্ত এবং আপগ্রেডেড কর্মচারীদের স্থায়ীকরণ এবং ইলেকট্রেশিয়ান ও প্লাম্বারদের পদ তৃতীয় শ্রেণীতে ভুক্তকরণ।


সর্বশেষ সংবাদ