খুবির ৩ দশক পূর্তি ২৫ নভেম্বর

  © ফাইল ফটো

আগামী ২৫ নভেম্বর (বুধবার) খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) দিবস। একইসঙ্গে এবছর বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষা কার্যক্রমের ৩ দশক পূর্তি। করোনার কারণে ব্যাপক আয়োজন না হলেও সীমিত আকারে দিবসটি এবং একইসঙ্গে ৩ দশক পূর্তি উদযাপনে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।

কর্মসূচির মধ্যে থাকছে, ক্যাম্পাসে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, ওয়েবিনারে আলোচনা সভা, মসজিদে দোয়া মাহফিল ও মন্দিরে প্রার্থনা। এছাড়া ক্যাম্পাসের মেইন গেট, রাস্তা, শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ প্রশাসন ভবনে আলোকসজ্জার আয়োজন করা হয়েছে।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস ও শিক্ষাকার্যক্রমের ৩ দশক পূর্তি উপলক্ষে ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান, বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ও রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা সচিব, ইউজিসির চেয়ারম্যান ও সদস্যরা, দেশবাসীসহ খুলনার সর্বস্তরের মানুষকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

১৯৮৭ সালের ৪ জানুয়ারি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা সংক্রান্ত সরকারি সিদ্ধান্ত গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়। ১৯৮৯ সালের ৯ মার্চ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন করা হয়। ১৯৯০ সালের জুলাই মাসে জাতীয় সংসদে ‘খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় আইন-১৯৯০’ পাস হয়, যা গেজেট আকারে প্রকাশ হয় ওই বছর ৩১ জুলাই। এরপর ১৯৯০-৯১ শিক্ষাবর্ষে ৪টি ডিসিপ্লিনে ৮০ জন ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করা হয়। ১৯৯১ সালের ৩০ আগস্ট প্রথম ওরিয়েন্টেশন এবং ৩১ আগস্ট ক্লাস শুরুর মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রমের সূচনা হয়।

পরবর্তীতে ১৯৯১ সালের ২৫ নভেম্বর শিক্ষাকার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। ২০০২ সালের ২৫ নভেম্বর ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা ও আড়ম্বরপূর্ণ পরিবেশে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সেই থেকে প্রতিবছর ২৫ নভেম্বর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। প্রতিষ্ঠাকালের দিক থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান নবম।

বর্তমানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮টি স্কুল (অনুষদ) রয়েছে। এখানে মোট ২৯টি ডিসিপ্লিনে (বিভাগ) শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিয়মিত ব্যাচেলর ডিগ্রি, ব্যাচেলর অব অনার্স ডিগ্রি, মাস্টার্স ডিগ্রি, এম ফিল এবং পিএইচডি দেওয়া হয়।


সর্বশেষ সংবাদ