অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে
দরপত্র অনুযায়ী এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মালামাল সরবরাহ করলেও বকেয়া অর্থ পরিশোধ না করার অভিযোগ ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। গত দুই মাসে তিন দফায় সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান মাস্টার সিমেক্স পেপার লিমিটেড কোম্পানি বকেয়া পরিশোধে চিঠি দিলেও তা পরিশোধ করা হয়নি।
বর্তমানে পাওনা অর্থ আদায়ে আইনি ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন মালামাল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ইমরান হোসেন। এ অর্থ আত্মসাৎ করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মালামালে ত্রুটির অভিযোগ আনা হয়। সে কারণে বকেয়া পরিশোধে বিলম্ব হচ্ছে বলে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
ইমরান হোসেন জানান, গত কয়েক বছর ধরে মাস্টার সিমেক্স পেপার লিমিটেড কোম্পানি ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কাজ করে আসছে। ২০১৭ সালে ৮ আগস্ট এ বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ও অতিরিক্ত উত্তরপত্র এবং ওএমআর ফরমের দরপত্র প্রকাশ করলে তাতে নিন্মদরদাতা হিসেবে তারা মালামাল সরবরাহ কাজ শুরু করে।
তিনি জানান, একই দরপত্রের আলোকে পরের বছর ১২ জুন এ বিশ্ববিদ্যালয়ে পাবলিক পরীক্ষার জন্য এক লাখ ৬৪ হাজার মূল উত্তরপত্র, ৩ লাখ ৩০ হাজার অতিরিক্ত উত্তরপত্র ও নিয়োগ পরীক্ষার ১০ হাজার ওএমআর শিট সরবরাহ করা হয়। এসব মালামালের বিপরীতে মোট ৩৮ লাখ ৯৯ হাজার ৪০০ টাকা বিল দাখিল করে মাস্টার সিমেক্স পেপার লিমিটেড। মালামাল সরবরাহের বিল প্রদান করা হয়। মূল দরপত্রের বিপরীতে অতিরিক্ত কার্যাদেশ হিসেবে এই মালামালগুলো সরবরাহ করা হয়।
প্রতিষ্ঠানের পরিচালক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের দরপত্র অনুযায়ী মালামাল সরবরাহের দুই বছর পার হলেও এখনও বকেয়া পরিশোধ করা হয়নি। কোম্পানির বকেয়া বিল কেন পরিশোধ করা হচ্ছে না জানতে চেয়ে গত দুই বছরে তিন দফায় কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয়া হয়েছে। দিচ্ছি দিচ্ছি বলে জানালেও এখন পর্যন্ত আমাদের সরবরাহ করা মালামালের অর্থ পরিশোধ করা হয়নি। এ অর্থ আত্মসাতের চেষ্টা করছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
তিনি বলেন, আমাদের সরবরাহ করা ওএমআর শিট ও উত্তরপত্র ব্যবহার করে নষ্ট করা হয়েছে। এসব দিয়ে একাধিক পরীক্ষা আয়োজন করে এর ফলাফল প্রকাশ করা হলেও এখনও দরপত্রের অর্থ পরিশোধ করা হয়নি। এ সংক্রান্ত বারবার প্রতিষ্ঠানটির উপাচার্য, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রারের কাছে গেলেও বিল পরিশোধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
অর্থ আদায়ে বর্তমানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এস এম মাহমুদ গণমাধ্যমকে বলেন, সরবরাহকৃত কিছু মালামালের মধ্যে ত্রুটি ধরা পড়ে। এ কারণে তাদের বকেয়া পরিশোধ করা হয়নি। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে তা পরিশোধ করা হবে বলে জানান তিনি।
ক্রটিপূর্ণ উত্তরপত্র গ্রহণ করে পরীক্ষায় কেন তা ব্যবহার করা হলো- এমন প্রশ্নে তিনি কোনো উত্তর দিতে রাজি হননি। বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে কথা বলার পরামর্শ দিয়েছেন রেজিস্ট্রার।