চাকরি দেওয়ার নামে বেরোবি শিক্ষকের ৭ লাখ টাকা আত্মসাত
চাকরি দেওয়ার নামে ৭ লাখ টাকা নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ তুলে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমানের নামে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন বকুল চন্দ্র মোহন্ত নামে এক ব্যক্তি। চাকরি দেওয়ার নামে গৃহীত টাকার চেকের অর্থ পরিশোধ করতে এই নোটিশ পাঠান তিনি।
সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ভুক্তভোগীর লিগ্যাল নোটিশ থেকে জানা যায়, ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগে অফিস সহকারী ও কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকরি দেওয়ার নাম করে ২০১৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি সাক্ষীগণের উপস্থিতিতে নগদ ৭ লাখ টাকা গ্রহণ করে ২শ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে একটি অঙ্গীকারনামা সম্পাদন করেন ওই শিক্ষক। এক বছরের মধ্যে চাকরি না দিতে পারলে সমুদয় টাকা ফেরৎ দিবেন বলে অঙ্গীকারনামায় উল্লেখ করেন তিনি। কিন্তু পরবর্তীতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চাকরি নিয়ে দিতে না পারায় চাকরি প্রত্যাশী সেই ব্যক্তি তার টাকা ফেরৎ চাইলে টাকা না দিয়ে কালক্ষেপন করেন বেরোবি শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান।
লিগ্যাল নোটিশে আরও বলা হয়, অবশেষে গত ২৬ আগস্ট জনতা ব্যাংক লিঃ লালবাগ শাখা রংপুরের নিজ নামীয় হিসাব থেকে সাত লক্ষ টাকার একটি চেক (চেক নম্বর-১৮০৬৪৯৫) প্রদান করেন বেরোবি শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান। পরে ১ সেপ্টেম্বর নগদায়নের জন্য সেই চেক জমা করলে হিসাবে (হিসাব নং ১০৫৪১) পর্যাপ্ত পরিমান টাকা না থাকায় অপর্যাপ্ত তহবিল, প্রদানকারীর স্বাক্ষরের অমিল থাকায় ব্যাংক কর্তৃক সেই চেক প্রত্যাখ্যাত হয়। লিগ্যাল নোটিশে ৩০ দিনের মধ্যে সাত লাখ টাকা পরিশোধ করে তার প্রদত্ত চেক ফেরৎ নিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমানকে বারবার মুঠোফোনে কল দেওয়া হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কারও বক্তব্যের জন্য ফোন দেয়া হলে কেউ রিসিভ করেননি।
ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই উকিল নোটিশ মিথ্যা দাবি করেন। শামীম সর্দার নামের ওই ব্যক্তিকে তিনি চিনেন না। এছাড়াও ওই উকিল নোটিশটি বেনামি এবং হয়রানির উদ্দেশ্য পত্রিকায় ছাপানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, এটা তার বিরুদ্ধে গত ৩ বছর ধরে চলমান ষড়যন্ত্রের চূড়ান্ত পর্যায়ের নোংরামি।