ইবিতে ভর্তি হতে চান বঞ্চিত পোষ্যকোটাধারীরা
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে বঞ্চিত পোষ্যকোটায় ভর্তি নিশ্চিত করতে বিভিন্ন সময় কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এ শিক্ষাবর্ষে কোটা সমতার কথা বলে অন্য কোটার প্রার্থীদের ন্যূনতম যোগ্যতায় ভর্তির সুযোগ করে দেওয়া হলেও বঞ্চিত হয়েছেন পোষ্যকোটার পরীক্ষার্থীরা।
ফলে গত ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে বঞ্চিত পোষ্যকোটাধারী পরীক্ষার্থীদের ভর্তির দাবিতে কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছিলেন ইবি কর্মকতাদের একাংশ। পরবর্তীতে তাদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস প্রদান করে প্রশাসন। কিন্তু সময় যাওয়া সঙ্গে সঙ্গে সে আশ্বাস বাস্তবায়িত হয়নি। পরবর্তীতে করোনার বন্ধের কারনে বন্ধ হয়ে যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের যাবতীয় কাজ। শেষ হয় ভিসির মেয়াদও।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে প্রথমে পোষ্য ও খেলোয়াড় কোটা একই সরণীতে থাকলেও পরবর্তীতে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সিট ফাঁকা থাকায়, তাতে সবার সমতায় ফেরানোর চেষ্টায় ২০ মার্ক করেন ভর্তি কমিটি। বিশ্ববিদ্যালয়ে খেলোয়াড় এবং পোষ্যকোটার ভিন্ন বৈঠকে খেলোয়াড় কোটায় ন্যূনতম যোগ্যতায় এবং অগণিত সংখ্যায় ভর্তিতে অনুমতি প্রদান করে ভর্তি কমিটি।
এদিকে, পোষ্যকোটার বৈঠকে শুধুমাত্র কর্মকতা এবং কর্মচারীর ছেলেমেয়ে থাকায় একাধিক শিক্ষক পোষ্যকোটা প্রার্থীদের ভর্তির দাবি বা নম্বর কমানোর কথা বললেও কিছু প্রভাবশালী শিক্ষক তা নাকচ করে দেন। পরে সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী তা মেনে নিতে অসম্মতি প্রকাশ করেন এবং ভর্তি না করায় সম্মতি দেন।
তবে কর্মকতাদের কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচির পর থেকে আশা দেখেছিলেন পোষ্যকোটাধারীরা। এ বিষয়ে পরীক্ষার্থী রানা বলেন, ‘২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে আমাদের বঞ্চিত পোষ্যকোটাধারীদের এভাবে আশ্বাস দিয়ে এখন পর্যন্ত এই বিষয়টি সমাধান হয়নি। এতে আমরা খুবই অসহায়ত্ব অনুভব করছি। নতুন ভিসির কাছে আকুল অনুরোধ থাকবে, আমাদের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি নিশ্চিত করার জন্য।’