বাকৃবিতে অনলাইন ক্লাস শুরু না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ
করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘ সাত মাস বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক পর্যায়ের (বাকৃবি) শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ এবং এখনও অনলাইন ক্লাস শুরু না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে দ্রুতই অনলাইন ক্লাসের চালুর দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর খোলা চিঠি লিখেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, করোনা সংক্রমণে উদ্ভুত পরিস্থিতির কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে বাকৃবির শিক্ষাকার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে প্রশাসনের সাথে একাধিক ভার্চুয়াল সভায় অনলাইন ক্লাসের দাবি জানায় শিক্ষার্থীরা। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিক আশ্বাসের পরও এখনও শুরু হয়নি অনলাইন ক্লাস।
এদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এসব সেমিনারে বলা হয়, মাস্টার্স লেভেলের একটি সেমিস্টারে অনলাইন ক্লাস শুরুর সপ্তাহখানিকের মধ্যে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি এবং তাদের অনলাইন ক্লাসের কার্যকারিতার ভিত্তিতে স্নাতক লেভেলে ক্লাসের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
এদিকে আগস্টের প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু হয় মাস্টার্সের অনলাইন ক্লাস। কিন্তু মাস্টার্সের অনলাইন ক্লাস শুরু হওয়ার দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও স্নাতকদের ক্লাসের বিষয়ে এখনও কোনো কার্যকারী সিদ্ধান্ত নেয়নি প্রশাসন।
কৃষি অনুষদের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মাহবুব শোভন বলেন, করোনা মহামারীর এই সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে পাঠদান চালু রয়েছে। অথচ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় এই দীর্ঘ সময়েও অনলাইন শুরু করতে পারেনি। শিক্ষাক্ষেত্রে আমাদের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে অনলাইন ক্লাসের কোনো বিকল্প দেখছি না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদ ছাত্র সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে অনলাইন ক্লাস কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, সেখানে মিটিংয়ের মিথ্যা আশ্বাসে আটকে রাখা হয়েছে আমাদের। ৪০ দিনের রিপিট পরীক্ষাগুলোরও কোনো সুরহা হচ্ছে না। কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেও মিলছে না কোনো সদুত্তর। সাধারণ শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে দ্রুত সময়ের মধ্যে অনলাইন ক্লাস ও রিপিট পরীক্ষাগুলো সুনিশ্চিত করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাই।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান বলেন, অনলাইন ক্লাস চালুর বিষয়ে ডিন কাউন্সিল থেকে বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়েছে। আগামি সপ্তাহে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আশা করি শীঘ্রই অনলাইন ক্লাস চালু হবে।