ধর্ষকদের সনদ বাতিলে ব্যবস্থা নেব: এমসি কলেজের অধ্যক্ষ
সিলেট মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক সালেহ আহমেদ। তিনি বলেছেন, তদন্ত কমিটির সুপারিশের প্রেক্ষিতে অভিযুক্তদের সনদ বাতিলের মাধ্যমে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তিই আমাদের প্রত্যাশ।
আজ শনিবার রাতে দেশের একটি জাতীয় দৈনিককে দেয়া সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক সালেহ বলেন, আমার পক্ষ থেকে যতটুকু করার আমি করছি। সকালে অনেক সাংবাদিক আমার কাছে এসেছিলেন। তাদের সঙ্গে কথা বলতে বলতেই একজন সিনিয়র সচিব আমাকে ফোন দিয়েছিলেন, তিনি আমার ঘনিষ্ঠজন। তিনি এই কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী। আমি তাকেওবলেছি, আপনি আপনার অবস্থান থেকে কিছু করেন।
অভিযুক্তদের শাস্তির আশ্বাস দিয়ে অধ্যক্ষ বলেন, এই কলেজের অনেক শিক্ষার্থী বিভিন্ন বড় বড় পর্যায়ে আছেন। তাদের অনেককে আমি ফোন করেছি। তারা তাদের পক্ষ থেকে যতটুকু করার করবেন বলে কথা দিয়েছেন। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চভাবে চেষ্টা করছেন এদেরকে প্রথমে গ্রেপ্তার করতে। তারপর যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং এদের সর্বোচ্চ শাস্তি হোক এটাই আমার প্রত্যাশা।
এ ঘটনার সম্পর্কে অবহিত হওয়ার পর থেকে অধ্যক্ষ হিসেবে তার কার্যক্রম তুলে ধরে বলেন, আমার একজন কর্মচারী আমাকে ফোন দিয়ে ঘটনাটি জানায়। এটা রাত ৮টার দিকে। ঘটনাটি তো ঘটেছে সন্ধ্যার পরপরই। আমার কর্মচারী জানানোর পরে শাহ পরান থানার ওসি ফোন দিয়েছেন। তারা ছাত্রাবাসে ঢোকার অনুমতি চাইলে আমি তাদের বলি, আপনারা দ্রুত ভেতরে যান। আমার হোস্টেল সুপারেন্টেন্ড দুজন ছুটিতে আর দুজন সেখানে ছিলেন। তাৎক্ষনিকভাবে তাদের সেখানে পাঠাই।
তিনি বলেন, আমার শরীর একটু খারাপ ছিল। পুলিশ ভেতরে যাওয়ার একটু পরেই কলেজের একজন সহযোগী অধ্যাপক এবং শিক্ষক পরিষদের সম্পাদকে সেখানে পাঠিয়েছি। তারা আমাকে জানান, তদন্ত চলছে, আপনার এখনই আসার দরকার নেই। পরে আমাকে যখন যেতে বলেন, তখন আমি রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে যাই এবং ভোররাত ৩টা পর্যন্ত সেখানে ছিলাম।
এদিকে ছাত্রাবাসে ধর্ষণের ঘটনায় আজ শনিবার অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কলেজ অধ্যক্ষ জানান, কলেজের গণিত বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জীবন কৃষ্ণ আচার্য্য ও একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জামাল উদ্দিনের সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
তিনি জানান, সার্বিক বিষয় তদন্তের জন্য এদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সাত কার্য দিবসের মধ্যে এই কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত কমিটির শেষের দু’জন হোস্টেেল সুপারের দায়িত্বে রয়েছেন।