প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল চায় ইবি শিক্ষার্থীরা
প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল প্রদানের দাবি জানিয়েছে ইসালামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শিক্ষার্থীরা। ই-লার্নিং, শিক্ষাবৃত্তি ও গবেষণার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল। প্রাতিষ্ঠানিক ইমেলের দাবি জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় উঠে।
শিক্ষার্থীরা জানায়, প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল না পাওয়ায় আনলিমিটেড গুগল ড্রাইভ ব্যবহার, আন্তর্জাতিক অনলাইন প্লাটফর্মগুলো থেকে একাডেমিক, ব্যবহারিক এবং ক্যারিয়ার বিষয়ক নানা দক্ষতা অর্জন থেকে পিছিয়ে পড়ছেন তারা। এ সঙ্কট নিরসনে অনতিবিলম্বে প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল প্রদানের দাবি তাদের।
বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মিঠুল মিয়া বলেন, ‘‘গবেষণা, গবেষণাপত্র প্রকাশ এবং অন্যান্য সুবিধা পাওয়ার সম্ভাবনাকে ত্বরান্বিত করতে কিছু পাবলিক ও সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল সুবিধা রয়েছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠার ৪১ বছরেও প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল পায়নি ইবি শিক্ষার্থীরা। আমরা প্রশাসনের কাছে দ্রুত সময়ের মধ্যে ই-মেইল প্রদানের জন্য দাবি জানাচ্ছি।’’
এদিকে আজ বুধবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল প্রদানের দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রমৈত্রী নেতৃবৃন্দ।
বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্রমৈত্রীর নেতারা বলেন, তথ্য প্রযুক্তির যুগে শিক্ষার গুণগত মানের উৎকর্ষ সাধনে পিছিয়ে থাকার কোন সুযােগ নেই। নিয়মিত নতুন নতুন প্রযুক্তির সংযােজন ঘটছে আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে। যা শিক্ষা ও শিক্ষার্থীদের এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ধাপে ধাপে। তেমনি প্রযুক্তির অন্যতম ক্ষেত্র একাডেমিক ই-মেইল। ইতােমধ্যে দেশের উল্লেখ্যযােগ্য সংখ্যক কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল প্রদান করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আমরা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও এই সুযােগ থেকে বঞ্চিত থাকতে চাই না।
তারা আরো বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা ও গবেষণার দ্বার উন্মােচিত করে কয়েক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গবেষণাসহ দূর্লভ কিছু প্রযুক্তির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা সহজে প্রবেশ করতে পারবে। যে ক্ষেত্রে ট্রাডিশনাল ই-মেইল ব্যবহার করা যায় না, সেখানে প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল ব্যবহার করে সহজেই সুবিধা গ্রহণ করা যাবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক আহসান উল আম্বিয়া জানান, ‘প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল প্রদানে অথেনটিকেশনের ব্যাপার আছে। প্রথমত শিক্ষার্থীরা বিভাগীয় সভাপতির মাধ্যমে আবেদন করবে। আমরা হুট করেই কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। এ ব্যাপারে কিছু প্রসিডিউর ও প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের প্রয়োজন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান বলেন, ‘উপাচার্য না থাকায় আমি কোন সিদ্ধান্ত দিতে পারছি না। উপাচার্য নিয়োগ সম্পন্ন হওয়ার পর এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে।’