অটোপাস দেওয়ার দাবি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের, কর্তৃপক্ষের ‘না’
গাজীপুরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অটোপাসের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা। রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিগত পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিভিন্ন কলেজের চতুর্থ বর্ষের (সম্মান) পরীক্ষার্থীরা এ দাবি জানিয়েছেন।
এসময় মৌখিক ও বিজ্ঞান বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষার ক্ষেত্রেও গড় পদ্ধতি অনুসরণ করে সর্বোচ্চ ৩০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছেন মানবন্ধনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা।
করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার অনিশ্চিয়তার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশনজট নিরসন ও শিক্ষার্থীদের চাকরির পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার লক্ষ্যে বিশেষ সুযোগ সৃষ্টির জন্য পরীক্ষা না নিয়ে বিকল্প ব্যবস্থায় ফলাফল দেয়ার অনুরোধও জানিয়েছেন তারা।
মানববন্ধনে অংশ নেয়া চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী মো. রেজাউল করিম জানান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিভিন্ন কলেজে চতুর্থ বর্ষ (অনার্স) পরীক্ষা চালাকালে পাঁচটি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এর পর দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব তথা মহামারির কারণে অন্যসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ন্যায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ কলেজেও সকল পরীক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
তিনি বলেন, কলেজসমূহ বন্ধ হওয়ার আগে চতুর্থ বর্ষের অনুষ্ঠিত পাঁচটি বিষয়ের পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন করে বাকি বিষয়ের পরীক্ষার নম্বর মূল্যায়ন করে ফল প্রকাশ করা হোক।
শিক্ষার্থীরা জানান, অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা চলাকালীন করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে তিনটি পরীক্ষা বাকি রেখে সকল শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এ কারণে ছয় মাসেও ওই তিন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। এখনও বাকি পরীক্ষা নেয়ার মতো পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি এবং অনেকেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এজন্য আগের পরীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষণপূর্বক অটোপাস দিয়ে দ্রুত ফল প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছেন তারা।
তবে এ দাবি নাকচ করে দিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হারুন অর রশিদ বলেন, ‘পরীক্ষা না দিয়ে অটো প্রমোশনের কোন সুযোগ নেই। অনুকূল পরিবেশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং ন্যূনতম সময়ের মধ্যে ফলাফল দেয়া হবে। শুধু পাঁচটি বিষয়ের ফল নিয়ে শিক্ষার্থীদের জীবনে এ সনদ কোন কাজে আসবে না, না দেশে না বিদেশে।’