বস্তির শিশুদের যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধের উপায় শেখালো ষষ্ঠ ইন্দ্রীয়
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিশু যৌন নিপীড়ন বিষয়ে সচেতনতামূলক সংগঠন ৬ষ্ঠ ইন্দ্রিয়'র আয়োজনে বস্তিবাসী শিশুদের মাঝে মাস্ক, স্যানিটারাইজার ও খাবার বিতরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি শিশুদের ভাল-খারাপ স্পর্শের পার্থক্য, শরীরের ব্যক্তিগত অংশের পরিচিতি ও শিশু যৌন নিপীড়ন থেকে আত্মরক্ষার কৌশল এবং অভিভাবকদের এ বিষয়ে সচেতন করেন সংগঠনের সদস্যরা।
গত বুধবার বিকেলে রাজশাহী নগরীর ভদ্রা রেললাইন সংলগ্ন বস্তিতে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে এই সংগঠনটি। এসময় এতে সংগঠনের সভাপতি নওরীন আমিনা, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমীনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এই কর্মসূচীর আওতায় ৭০ টি পরিবারের ২ শতাধিক সদস্যকে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং ৬০ জন শিশুর জন্য পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ করা হয়। এসময় সংগঠনের সদস্যরা শিশু ও অভিভাবকদের সঠিক উপায়ে মাস্ক পড়া ও হাত ধোয়া বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেন।
সংগঠনটির সভাপতি নওরীন আমিনা বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে সুবিধাবঞ্চিত মানুষগুলো খাদ্য ও স্বাস্থ্যসেবা দুটোরই সংকটে। শিশুদের বিশেষ পুষ্টির চাহিদা থাকে। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের নজর দেয়া জরুরি। এছাড়া ৯১% শিশু যৌন নিপীড়ক শিশুদের পূর্ব পরিচিত অর্থাৎ কাছের মানুষ হয়। করোনা পরিস্থিতিতে শিশুরা ঘরবন্দি আছে ৬ মাসের মতো হল। আমরা আশঙ্কা করছি, এসময় পারিবারিক সহিংসতার পাশাপাশি শিশু নিপীড়নের হার বেড়েছে। এসব বিবেচনা করেই আমরা সচেতনতামূলক এই কর্মসূচির আয়োজন করি’।
সংগঠনটির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমীন বলেন, ‘সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের চাহিদার তুলনায় এই সহযোগিতা যথেষ্ট নয়। তবু আমরা ওদের জন্য কিছু করতে পেরে আনন্দিত। প্রোগ্রামে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং সহ সবধরণের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি’।
প্রসঙ্গত, ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় সংগঠন মূলত শিশু যৌন নিপীড়ন বিষয়ক সচেতনতামূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে থাকে। বিগত দেড় বছরে রাজশাহী, নোয়াখালী এবং টাঙ্গাইলে এর কর্মসূচি চালু আছে। এ পর্যন্ত দেশের ৮০ টির বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ওয়ার্কশপ করেছে এই সংগঠনটি।