কুবির বাজেট: মেডিসিনের জন্য জনপ্রতি গড় বরাদ্দ ৩৯ টাকা
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ২০২০-২১ অর্থবছরে মোট ৫৩ কোটি ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকার বাজেট পাশ হয়েছে। মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়টির ৭৬তম সিন্ডিকেট সভায় এ বাজেট পাশ করা হয়। এদিকে, এ বাজেটে মেডিসিন ক্রয় বাবদ মাত্র ৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যা মোট শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীর চাহিদার তুলনায় নগন্য বলে জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়টির অর্থ ও হিসাব দপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি অর্থবছরে গত অর্থবছরের তুলনায় বিভিন্ন খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। চলতি অর্থবছরে ৩১ কোটি ৫০ লাখ টাকা শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতার জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
আর পণ্য ও সেবা বাবদ সহায়তা ১৩ কোটি ৭৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা, পেনশন ও অবসর সুবিধা বাবদ ২ লাখ টাকা, গবেষনা অনুদান ১ কোটি ২০ লাখ টাকা, অন্যান্য অনুদান বাবদ ২ লাখ টাকা ও মূলধন অনুদান ৬ কোটি ৬২ লাখ টাকা রাজস্ব (আবর্তক ও মূলধন) বাজেট বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এছাড়া পাশকৃত বাজেটের মধ্যে প্রারম্ভিক স্থিতি ৩ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ইউজিসি হতে বরাদ্দ পাওয়া যাবে ৪২ কোটি ৫৬ লাখ টাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব তহবিল থেকে যোগান দেয়া হবে ৭ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের জন্য মেডিসিন ক্রয় বাবদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে মাত্র ৩ লাখ টাকা। গত অর্থবছরের তুলনায় বরাদ্দ বাড়লেও তা একেবারেই অপর্যাপ্ত। রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী মিলে প্রায় ৭ হাজার ৭০০ জন। সে হিসেবে মাথাপিছু গড়ে ৩৯ টাকা বরাদ্দ পড়ে। যা একেবারেই কম বলে করছেন বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী নূরুদ্দিন রাসেল বলেন, মেডিকেলে নাপা আর গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ ছাড়া সাধারণত অন্য ঔষধগুলো পাওয়া যায় না। বরাদ্দ আরও বাড়ানো প্রয়োজন।
সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডা. মাহমুদুল হাসান খান বলেন, গত বছরের তুলনায় বরাদ্দ কিছুটা বাড়লেও তা মোট শিক্ষক শিক্ষার্থীর তুলনায় পর্যাপ্ত নয়। তবে আমরা চেষ্টা করবো প্রশাসনের সাথে কথা বলে আরও বাড়ানোর জন্য।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, মেডিসিনের জন্য ৩ লাখ বরাদ্দ হলেও করোনাকালীন সরঞ্জামাদি ক্রয়ে আরও প্রায় ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকার মত বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এখান থেকে মেডিসিন ক্রয় খাতে বরাদ্দ বাড়ানো প্রয়োজন হলে বাড়ানো যাবে। সমস্যা হবে না।
তিনি বলেন, গত অর্থবছরের তুলনায় গবেষণা সহ প্রায় সবকটি খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। বাজেট অনুযায়ী কাজ করার বিষয়ে আমাদের তদারকি থাকবে।
এর আগে গত ২১ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ কমিটির (এফসি) ৪৫তম সভায় প্রস্তাবিত বাজেটের সুপারিশ করা হয়। এছাড়া ২০১৯-২০ অর্থবছরে মূল বরাদ্দ ছিল ৪২ কোটি ১৭ লাখ টাকা। পরে সংশোধিত আকারে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৪৭ কোটি টাকা।