জাল সনদে কলেজ প্রভাষক, ১১ মাস পরও ব্যবস্থা নিল না কর্তৃপক্ষ
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর সরকারি কলেজের এক প্রভাষক জাল সনদ নিয়ে নিয়োগ পেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে এনটিআরসিএ’র পক্ষ থেকে নোটিশ পাওয়ার ১১ মাস পরও কোন ব্যবস্থা নেয়নি কলেজ কর্তৃপক্ষ।
অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম মোছা. মেরিনা পারভিন। কলেজটির ইসলামের ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক বিভাগের শিক্ষক তিনি। জানা গেছে, মেরিনা পারভিন ২০১৩ সালের ২৪ অক্টোবর রাজশাহী পুঠিয়া উপজেলাধীন বানেশ্বর সরকারি কলেজে ইসলামের ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। নিয়োগকালীন সময় রোল ৩৪২৩০১২৩ ও রেজি. নং-১০০০০৪১১৬৯৪ উল্লেখ করে ষষ্ট শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার সনদ দিয়ে যোগদান করেন তিনি।
এদিকে এনটিআরসিএর রেজাল্ট প্রকাশিত হলে তার জাল সনদের বিষয়টি জানাজানি হয়। পরে এনটিআরসিএর সহকারী পরিচালক মোস্তফা আহমেদ স্বাক্ষরিত নোটিশে তার জাল সদনের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে গত ০৫/০৯/২০১৯ তারিখে বানেশ্বর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ বরাবর নোটিশ পাঠিয়েছেন। নোটিশের ১১ মাস পার হলেও কলেজ কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।
নোটিশে বলা হয়েছে, বর্ণিত তালিকার ক্রর্মিক নং-১৭ সনদধারী ব্যক্তি জাল/জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন মর্মে লিখিতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এ কারণে উক্ত জাল ও ভুয়া সনদধারী ব্যক্তির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে থানায় মামলা দায়েরপূর্বক সংশ্লিষ্টদের অবহিত করার জন্য মামলা আরজিসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা গেল।
বানেশ্বর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ এস এম একরামুল হক বলেন, অভিযুক্ত মেরিনা পারভীন বানেশ্বর সরকারি কলেজে ইসলামের ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক বিভাগের ৩য় শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। অধ্যক্ষ বলেন, তবে তার নিবন্ধন সনদের প্রতিবেদন আশার পূর্বেই তিনি পদত্যাগ করেছেন। তাই কলেজ কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।