করোনার বন্ধে ইলিশ বিক্রি শুরু করেছেন কুবি শিক্ষার্থী
করোনাভাইরাসের কারণে ঘরবন্দী মানুষ। বাজারে গিয়ে পছন্দ মতো নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে এই সময়ে। মানুষের এমন কঠিন সময়ে ঘরে ঘরে চাঁদপুরের তাজা ইলিশ পৌঁছে দেয়ার কাজে নেমেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম।
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া আরো তিনজন বন্ধুকে সাথে নিয়ে চাঁদপুরের ইলিশ নিয়ে 'ইলিশ বাজার' প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলেছেন এই তরুণ। দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের আজকের আয়োজনে থাকছে এ শিক্ষার্থীর উদ্যোক্তা হয়ে উঠার গল্প।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের স্নাতক শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী শরিফের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, চাঁদপুরের রুপালী ইলিশের কদর দেশে কিংবা বিদেশে কোথাও কমতি নেই। বিভিন্ন জায়গার ইলিশের ভিড়ে চাঁদপুরের ইলিশ পাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা গ্রাহকদের কাছে সরাসরি চাঁদপুরের তাজা পৌঁছে দেয়ার সংকল্প নিয়েই ইলিশ বাজার নিয়ে কাজ শুরু করি।
শরিফ বলেন, আমাদের জাতীয় মাছ ইলিশ। বাজারে দীর্ঘদিনের সংরক্ষণ করা ইলিশ কিংবা সমুদ্রের ইলিশকে পদ্মার রুপালী ইলিশ বলে বিক্রি করা হচ্ছে। যার ফলে খাটি ইলিশের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে মানুষ। স্থানভেদে ইলিশের স্বাদের তারতম্য রয়েছে। বিশেষ করে পদ্মার রুপালী ইলিশের স্বাদ অতুলনীয়।
এ শিক্ষার্থী বলেন, এসব ইলিশের দাম নাগালের বাইরে থাকায় মানুষ ইচ্ছে থাকলেও কিনতে পারে না। তাই আমি আমার চার বন্ধু মিলে খেটে খাওয়া মানুষ থেকে শুরু করে সবাই যেন রুপালী ইলিশের স্বাদ পায় নিতে পারে সর্বোচ্চ কম দামে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে 'ইলিশ বাজার' নিয়ে কাজ শুরু করেছি।
কীভাবে ইলিশ বাজার নিয়ে কাজ করছেন বিষয়টি নিয়ে শরিফ জানান, দীর্ঘ ১ বছর মানুষ কী চায়, বাজারে দাম বিশ্লেষণ করে ইলিশ নিয়ে কাজ শুরু করি। আমার কাছে মনে হয় এ দেশের মানুষের জন্য চড়া দাম খুব সমস্যা। দাম হাতের নাগালে না থাকায় দেশের জাতীয় মাছের পুষ্টিগুণ থেকে এদেশের মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে। তাই কম মূল্যে সকল শ্রেণির মানুষের কাছে এ মাছটি পৌঁছে দিতে কাজ শুরু করি।
ইলিশ নিয়ে কাজ করে কেমন সাড়া পাচ্ছেন এ প্রশ্নের জবাবে শরিফ বলেন, অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘ইলিশ বাজার’ শুরু করার পর খুব ভালো সাড়া পাচ্ছি। কারণ আমাদের প্রধান লক্ষ্য হলো সর্বোচ্চ কম দামে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সবার জন্য তাজা মাছ নিশ্চিত করা।
ইলিশ নিয়ে ভবিষ্যতে কি পরিকল্পনা রয়েছে জানতে চাইলে শরীফুল ইসলাম বলেন, আমরা চার বন্ধু বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ইলিশ মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি। আমাদের দেশের মানুষ যেন রুপালী ইলিশের স্বাধ নিতে পারে তাই ভবিষ্যতে আমরা দেশব্যাপী তাজা রুপালী ইলিশের সুপারশপ করার পরিকল্পনা রয়েছে।