মেস ভাড়া নিয়ে দায়সারা নোটিশ জবি প্রশাসনের, বাড়ছে ক্ষোভ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) দেশের একমাত্র অনাবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে প্রায় ১৫ হাজার শিক্ষার্থী, যার বেশিরভাগই মেস বা বাসা ভাড়া করেই থাকেন। শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগই আবার নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। তারা নিজেদের খরচ টিউশন বা পার্টটাইম চাকরি করে চালান। পাশাপাশি অনেকেই নিজের পরিবারে খরচও দেন।
জানা গেছে, বর্তমানে প্রায় কারোরই টিউশন বা চাকরি না থাকায় তীব্র ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়েছে তাদের। করোনা সংকটের কারণে গত কয়েক মাসের বাসা ভাড়া নিয়ে অনেকেই সমস্যায় রয়েছেন। অনেক মালিক তাদেরকে বাসা থেকে বের করে দিয়েছেন। অনেকে ২ বা ৩ মাস বাসা ভাড়া দেওয়ার পরও বাসা ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
এ অবস্থায় শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা চাইলে তারা সমাধান তো পানইনি, বরং উল্টো ভোগান্তির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। জবি প্রশাসন শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে পড়ে নামমাত্র এক সদস্য বিশিষ্ট কমিটি বানিয়েছিল। তার পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় দুই সপ্তাহ পর প্রশাসন থেকে আজ সোমবার (৬ জুলাই) বিকেলে একটি নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ দপ্তর থেকে পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল বাকী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মেস ভাড়া পরিশোধের জন্য শিক্ষার্থীদের আবেদনপত্র লাগবে। শিক্ষার্থীরা যেন বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে প্রক্টর অফিস থেকে আবেদন পত্র সংগ্রহ করে।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, যেখানে জবি প্রশাসন থেকে ক্লাস অনলাইনে নেওয়ার নোটিশ দিয়েছে, সেখানে এমন নোটিশ নিতান্ত হাস্যকর। শিক্ষার্থীদের এমন সমালোচনার মুখে পড়ে ওই নোটিশ বাতিল ঘোষণা করে প্রশাসন। কিছুক্ষণ পর আরেকটি নোটিশ দেওয়া হয়। সেখানে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাড়ি মালিকদের অনুরোধ করা হয়েছে মানবিক দৃষ্টিতে দেখার জন্য।
দায়সারা গোছের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এই নোটিশের ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘জগন্নাথে মিসকিন কতজন আছে তার একটা হিসাবের দরকার ছিলো ভিসির।’
অপর শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসাবে আমাদের সবার আশা ছিল, ভিসি স্যার হয়তো আমাদের এই সমস্যার সমাধানের জন্য কিছু একটা করবেন। কিন্ত তার প্রশাসনের এরকম দায়সারা কাজে আমরা সবাই অবাক হয়েছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই রকম নোটিশ আসলেই হতাশাজনক।’