বাড়িভাড়া পরিশোধ করতে না পারায় শিক্ষার্থীর কক্ষে তালা
আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে মেস ছাড়তে গিয়ে ছাত্রাবাস কর্তৃপক্ষের বাঁধার মুখে পড়েছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) এক শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের ওই শিক্ষার্থীর নাম মজনু।
তার অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার অনিশ্চয়তায় মেস ছাড়তে বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) বগুড়া থেকে ময়মনসিংহের ত্রিশালে আসেন তিনি। তাৎক্ষনিক ভাড়া দিতে না পারায় মেসে প্রবেশ করতে দেয়নি ক্ষনিকা ছাত্রাবাসের মালিক ড. মো. সাইফুল ইসলাম।
তিনি বলেন, মেস মালিক মো. সাইফুল ইসলামকে ফোন দিয়ে আর্থিক সমস্যার কারণে মেস ছাড়ার কথা বললে তিনি পুরো টাকা পরিশোধ করে মালামাল নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, স্থানীয় প্রশাসন ও মেস মালিকদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৩৩ শতাংশ ভাড়া মওকুফের কথা বললেও তিনি বলেন, এটা কোন ভাবে তার পক্ষে সম্ভব নয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান মধ্যস্ততায় মজনু ৬৭ শতাংশ ভাড়া পরিশোধ করে মেস ছেড়ে দিয়ে চলে আসেন তিনি।
অভিযোগ রয়েছে, সাইফুল ইসলাম এর আগেও বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে তার ছাত্রাবাসে থাকাকালীন সময় চাপ প্রয়োগ করে ২৪ ঘন্টার মধ্যে মেস ছাড়তে বাধ্য করেছিলেন।
বাড়ির কেয়ারটেকার আব্দুল আজিজ জানান, তিনি বাড়ির মালিককে না জানিয়ে সেদিনের মতো মজনুকে সেখানে থাকতে দেন। পরের দিন ২৬ জুন মজনু বিকাশে টাকা তুলতে বাইরে গেলে মেস মালিক রুমের তালা পরিবর্তন করে ফেলে। পুরো ভাড়া না দিলে কোন ভাবেই রুমের তালা খুলবেন না বলে জানান।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ও ত্রিশালের ক্ষনিকা ছাত্রাবাসের মালিক ড. মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি বাইরে এই নিয়ে এখন কথা বলতে পারবো না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান বলেন, আমি অভিযোগকারী শিক্ষার্থীকে বলেছি নোটিশ মোতাবেক ৬৭ শতাংশ ভাড়া পরিশোধ করে মেছ ছেড়ে দিতে।