নন-এমপিও কিছু শিক্ষক অপপ্রচার করছে: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২০, ০১:৩৩ PM , আপডেট: ২৬ জুন ২০২০, ০১:৪৭ PM
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজসমূহের অনার্স ও মাস্টার্সের নন-এমপিও কিছু শিক্ষকরা অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে দাবি করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষকদের চলমান আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে এবং তাদের দাবির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিজেদের বক্তব্য জানিয়ে দিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও জানিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আজ শুক্রবার (২৬ জুন) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ, তথ্য ও পরামর্শ দফতরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ ফয়জুল করিম স্বাক্ষরিত এ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বক্তব্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত অনার্স/মাস্টার্স পাঠদানকারী নন-এমপিও শিক্ষকরা সরকারের জনবল কাঠামোতে অর্ন্তভুক্ত হতে না পেরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ গণমাধ্যমে অযৌক্তিক ও বিরূপ প্রচারণা চালাচ্ছেন বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে। এ ধরনের প্রচারণাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।
আরও বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ও ডিন প্রফেসর ড. মো. নাসির উদ্দীন স্বাক্ষরিত একটি চিঠি সংশ্লিষ্ট কলেজের সভাপতি, গভর্নিং বডি এবং অধ্যক্ষদের কাছে পাঠানো হয়েছে। সেখানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে কিছুসংখ্যক শিক্ষকের অযৌক্তিক ও বিরূপ প্রচারণা প্রসঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত অনার্স/মাস্টার্স পাঠদানকারী নন-এমপিও শিক্ষকবৃন্দ সরকারের জনবল কাঠামোতে অর্ন্তভুক্ত হতে না পেরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়াসহ গণমাধ্যমে অযৌক্তিক ও বিরূপ প্রচারণা চালাচ্ছে। বিষয়টির প্রতি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে। তাদের এ ধরনের আচরণ অনৈতিক, অনাকাক্ষিত এবং অত্যন্ত দুঃখজনক।
এতে বলা হয়েছে, জনবল কাঠামোতে অধিভুক্তির সিদ্ধান্ত নেয়া বা না নেয়া সরকারের বিষয়। অন্যদিকে নিয়মিত বেতন প্রদান গভর্নিং বডি তথা কলেজ কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব। এ উভয় বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কোনোরূপ সংশ্লিষ্টতা নেই। অথচ তাদের টার্গেট করে অযৌক্তিক এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে সংশ্লিষ্ট কতিপয় শিক্ষক উল্লিখিত প্রচারণা চালিয়ে আসছে। তাদের এ তৎপরতা শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও শৃঙ্খলার পরিপন্থী।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অধিভুক্ত কলেজসমূহের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কল্যাণের ব্যাপারে সচেতন থেকে সাধ্য অনুযায়ী নানা প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে। করোনাকালীন চরম প্রতিকূল অবস্থায় মানবিক দিক বিবেচনা করে হলেও সকল শিক্ষক যাতে নিয়মিত বেতন পান তার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইতিপূর্বে অধিভুক্ত সকল কলেজকে একটি সাধারণ সার্কুলার জারি করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ অবস্থায় শিক্ষকবৃন্দ তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে যাতে জীবিকা নির্বাহ করতে পারে সে বিষয়ে সাধ্য অনুয়ায়ী চেষ্টা করা। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অযৌক্তিক অপপ্রচারে নিয়োজিত শিক্ষকদের আচরণ আমলে নিয়ে করণীয় নির্ধারণে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কলেজের সভাপতি ও অধ্যক্ষসহ গভর্নিং বডির সদস্যদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।