ইবির শিক্ষার্থীপ্রতি চিকিৎসা খরচ ১২৫ টাকা
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে ১৫৭ কোটি ৫৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সেলিম তোহা ২০১৯-২০ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারীর নিকট হস্তান্তর করেন।
অর্থ ও হিসাব শাখার তথ্যমতে, ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে পরিবহন ও চিকিৎসাসহ পণ্যসেবা খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৩৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকা, যা মোট বাজেটের ২৩.০৬ শতাংশ। সেখান থেকে ২০১৯-২০ ও ২০২০-২১ উভয় অর্থবছরে চিকিৎসা খাতে ২০ লাখ টাকা করে বরাদ্দ রাখা হয়েছে। যা মোট বাজেটের শূন্য দশমিক ১২ শতাংশ।
তথ্যমতে, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ১৬ হাজার। বাজেটে চিকিৎসা খাতে প্রদত্ত অর্থের ভিত্তিতে হিসাব অনুযায়ী, শিক্ষার্থীপ্রতি বছরে বরাদ্দ দাড়ায় ১২৫ টাকা। নতুন বিভাগ খোলায় শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রতিবছর বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে শিক্ষার্থীপ্রতি বরাদ্দের এ হার আরো কমবে। চিকিৎসা খাতে এ বরাদ্দ প্রয়োজনের তুলনায় অপর্যাপ্ত বলে মনে করেন সচেতন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
এদিকে বাজেট বিশ্লেষণে দেখা যায়, প্রতিবারের মতো এবারো বাজেটের সবথেকে বেশি বরাদ্দ শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনে। এ খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১০৪ কোটি ৮৬ লাখ টাকা, যা মোট বাজেটের ৬৬.৫৪ শতাংশ। অপরদিকে গবেষণা খাতে বাজেট বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৮০ লাখ টাকা। যা মোট বাজেটের .৫ শতাংশ। বিগত বছরের চেয়ে বাজেটের আকার বাড়লেও বরাদ্দ বৃদ্ধি পায়নি এ খাতে।
২০১৯-২০ অর্থবছরে মূল অনুন্নয়ন বাজেটে মোট বরাদ্দ ছিল ১৩৭ কোটি ১৬ লাখ টাকা। তখনও গবেষণায় বরাদ্দ ছিল ৮০ লাখ টাকা। পরবর্তীতে সংশোধিত বাজেট বরাদ্দ ১৫৩ কোটি ৫৩ লাখ ও ২০২০-২১ অর্থবছরে বাজেটের আকার বেড়ে ১৫৭ কোটি ৫৮ লাখ টাকা হলেও গবেষণায় বরাদ্দ বাড়েনি।
জানা যায়, ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ইউজিসিতে ২৯৯ কোটি পাঁচ লাখ ৩০ হাজার টাকার চাহিদা দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেখান থেকে ১৫৭ কোটি ৫৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় ইউজিসি। এখন পর্যন্ত এটিই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃহৎ বাজেট। বাজেটে উভয় অর্থবছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় ধরা হয়েছে ১৮ কোটি টাকা।