‘টিউশনি করে নিজে পড়ি ও পরিবার চালাই’— প্রধানমন্ত্রীকে শিক্ষার্থীর চিঠি
করোনাভাইরাসে বাড়িভাড়া নিয়ে নাজুক অবস্থায় পড়েছে শিক্ষার্থীরা। অনেকেই টিউশন করে নিজের খরচ চালাতো, কেউ কেউ অতিরিক্ত টাকা পাঠাতো গ্রামেও। তবে সব রুটিরুজিতে এখন এসেছে পরিবর্তন। ঘরবন্দী জীবনে শিক্ষার্থীদের চাপাকষ্ট আর আর্তনাদ নিয়ে প্রধাণমন্ত্রীর কাছে খোলা চিঠি লিখেছেন তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থী ওয়ালীউল্লাহ তুহিন।
চিঠিটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
‘‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,
আপনার কর্ণ অবধি পৌঁছাবে কি না জানি না। তারপরও বলছি। আমি টিউশন করে নিজে পড়ি ও আমার পরিবারের খরচ বহন করি। করোনা মহামারীর কারণে একমাত্র উপার্যনের পথ টিউশন বন্ধ। আমার বাবা ড্রাইভার। কয়েক মাস বাবা ঘরেই বসা, উপার্জনের কোনো পথই রইলো না। আমার মা গার্মেন্টস এ চাকরি করত। কিন্তু গত ২মাস বেতন পায়নি এখন শুনি তার চাকটিও নাই।
উপার্জনই তো নাই। দুমুঠো খেতে কষ্ট। এর ভিতরে বছর শেষে স্কুলের বেতন/ইউনিভার্সিটির সেশন ফি কিভাবে পরিশোধ করবো?
বেতন না দিতে পারলে, স্যার ক্লাসের সবার সামনে দ্বার করিয়ে টাকা চাইবে। গালমন্দ করবে, পরীক্ষা না দিতে দেওয়ার এমন হুমকিও দিবে। সেশন ফি না দিতে পারলে ফর্মফিলাপ করতে পারবো না। হয়তো এবার ইয়ার লস যাবে। এ কথা মনে করলে দুচোখে শুধু ঝাপসাই দেখি। তবে কি আমাদের পড়াশুনা এখানেই শেষ?
যার টিউশন নাই, যার বাবার আয় নাই, যার মায়ের চাকরি নাই, এমন না জানা হাজারো সমস্যায় যুক্ত ওই সংগ্রামী শিক্ষার্থীর পক্ষ হয়ে আপনার কাছে একটা আকুল আবেদন করছি- এই মহামারী বছরের ২০২০ স্কুলের যাবতীয় বেতন/ইউনিভার্সিটির সেশন ফি মওকুফ করে আমাদের পড়াশুনা করে আপনার সোনার বাংলা গড়ে তোলার সুযোগ করে দিবেন। জয় হোক মানবতার।’’