শিক্ষার্থীদের জন্য ইন্টারনেট প্যাকেজের প্রস্তাব
বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি (এপিইউবি) শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ইন্টারনেট প্যাকেজের প্রস্তাব করেছে। সম্প্রতি মুঠোফোন গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে চলমান সংকট ও বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়-দায়িত্ব প্রসঙ্গে এ কথা জানান সমিতির সভাপতি শেখ কবির হোসেন।
শেখ কবির হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পাশাপাশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও অনলাইনে ক্লাস নিতে শুরু করে। পরে আবার ইউজিসির পরবর্তী নির্দেশ অনুযায়ী পরীক্ষা ও ভর্তি স্থগিত রাখা হয়। তবে অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্তটি যুগোপযোগী ছিল।
শেখ কবির হোসেন বলেন, যদিও বাস্তবতার নিরিখে সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের সবার পক্ষে অনলাইনে ক্লাস করা সম্ভব নয় প্রযুক্তিগত কারণে। তাদের জন্যই তিনি শিক্ষার্থীবান্ধব বিশেষ ইন্টারনেট প্যাকেজের দাবি করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানের দুর্বল ইন্টারনেট অবকাঠামোর কারণে অনেকেই হয়তো পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না, তাদের জন্য আলাদা করে ভেবেছে এপিইউবি। তাদের পরীক্ষা পরে নেওয়ার সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যে এপিইউবি গ্রহণ করেছে।
তিনি আরও বলেন, এখানে সরকার ও টেলিকম কোম্পানিগুলো বড় ভূমিকা রাখতে পারে। দেশের অব্যবহৃত ব্যান্ডউইথের সামান্য অংশ উন্মুক্ত করে দিলেও অতি কম দামে টেলিকম কোম্পানি সেটুকু সংযোগ করিডর ‘বিশেষ শিক্ষা প্যাকেজ’ হিসেবে দিতে পারে। এতে করে শিক্ষার্থীরা কম খরচে পর্যাপ্ত কানেকটিভিটি পাবে।
মুঠোফোন আলাপে তিনি আরও বলেন, সবচেয়ে সহজ ও সর্বনিম্ন যোগাযোগের উপায়ের মাধ্যমেই শিক্ষাকার্যক্রম চালু রাখতে হবে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা গবেষণা শুরু করেছে।
প্রসঙ্গত, গত ৬ এপ্রিলের একটি ঘোষণায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন ক্লাস স্থগিত করেছে মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এর মাত্র চারদিন পর গত ১০ এপ্রিল পুনরায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে অনলাইন পরীক্ষা, মূল্যায়ন ও ভর্তি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত জানায় ইউজিসি।