করোনা: ক্যাম্পাস বন্ধ নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত ববি শিক্ষার্থীরা
বৈশ্বিক মহামারি রূপে আকার ধারণ করেছে করোনা ভাইরাস কোভিড-১৯। চীনের উহান শহরে যে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছিল তা এখন বিশ্বের ১৪৫ টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে ইতিমধ্যে ৩৯ টি দেশ স্কুল, কলেজ বন্ধ ঘোষণা করেছে।বাংলাদেশেও নতুন করে ২ জনকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত বলে সনাক্ত করা হয়েছে। হোম কোয়ারাইন্টনে রাখা হয়েছে প্রায় ১২০০ মানুষকে। বুয়েট, রুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ বেশ কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে ক্লাস বর্জনের ডাক দিয়েছে। সরকারি ভাবেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলা জানা গেছে।
এমতাবস্থায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল ধরণের অনুষ্ঠান সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কিন্তু ক্লাস পরীক্ষা চালু রয়েছে এখনো। এপর্যায়ে ক্যাম্পাস বন্ধ করা হবে কিনা এসব নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে এনিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা। কেউ নিজ টাইমলাইনে বা ক্যাম্পাসের ইন্টারন্যাল গ্রুপগুলোতে ক্যাম্পাস বন্ধ রাখার পক্ষে বিভিন্ন যুক্তি- অভিমত তুলে ধরেছে। কেউবা সেশন জটের আশঙ্কা প্রকাশ করে ক্যাম্পাস চালু রাখার পক্ষে অভিমত দিয়েছেন।
অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী চন্দন সেন ক্যাম্পাস বন্ধ রাখার বিপক্ষে অবস্থান করে বলেন, বিশেষজ্ঞদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী করোনায় আক্রান্ত হয়েছে পৃথিবীর প্রায় ১৪৫ টি দেশের মানুষ যাদের মধ্যে ৯৪ % এরও বেশি মানুষই সুস্থ হয়ে কিছুদিনের মধ্যে ঘরে ফিরেছে। মৃত্যুর হার ৩% এরও কম।যারা মারা গেছেন তাদের ৭০% অন্যান্য রোগের কারনে মারা গেছেন।
আমাদের দেশে করোনার তেমন কোনো প্রভাবই দেখা যাই নি, যারা আক্রান্ত হয়েছিলেন তারাও এখন সুস্থ বলে জানা গেছে।এমতাবস্থায় ক্যাম্পাস বন্ধ করলেও ক্যাম্পাসের বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রীরাই হলে/মেসেই থাকবে। শুধু শুধু ক্যাম্পাস বন্ধ করে দিলে যাদের পরীক্ষা চলছে তাদের পরীক্ষা আরো পিছিয়ে যাবে। যাদের সেশনজট আছে তাদের সেশনজন আরো বাড়বে।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী সুদেব মল্লিক বলেন, কনোনা ভাইরাস সবার মাঝে একটি ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। ইউরোপের উন্নত দেশগুলো তাদের এতো উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা, প্রযুক্তি দিয়েও যেখানে করোনা ভাইরাস ঠেকাতে পারেনি। সেখানে আমাদের দেশের যে চিকিৎসা ব্যবস্থা, তা কখনোই করোনা ভাইরাসের মহামারি থেকে রক্ষা করতে পারবে না। তাই সাময়িক সময়ের জন্য ক্যাম্পাস বন্ধ রাখা জরুরি।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে ক্যাম্পাস বন্ধ করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সুব্রত কুমার দাস বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোন আলোচনা হয়নি। তাই এ বিষয়ে এখনি কিছু বলা যাচ্ছে না।