কুবির বিজ্ঞান অনুষদের ডিন নিয়োগে ৬ মাসের স্থগিতাদেশ
- কুবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১২ মার্চ ২০২০, ০৫:০২ PM , আপডেট: ১২ মার্চ ২০২০, ০৫:০২ PM
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) বিজ্ঞান অনুষদের ডিন পদে নিয়োগ এবং ডিন অফিসের কার্যক্রমের উপর ছয় মাসের স্থগিতাদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিজ্ঞান অনুষদের ডিন নিয়োগে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন লঙ্গন করার অভিযোগ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. সৈয়দুর রহমানের করার রিটের প্রেক্ষিতে বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের দ্বৈত বেঞ্চ গত মঙ্গলবার এ স্থগিতাদেশ দেন।
জানা যায়, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. আবু তাহের স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে পরিসংখ্যান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. দুলাল চন্দ্র নন্দীকে বিজ্ঞান অনুষদের ডিন পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। এই নিয়োগে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০০৬ অনুযায়ী জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে অধ্যাপকদের মধ্য থেকে ডিন নিয়োগের কথা উল্লেখ থাকলেও তা লঙ্গন করার অভিযোগ তুলে অধ্যাপক ড. সৈয়দুর রহমান রিট পিটিশন করেন। রিটের প্রেক্ষিতে বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের দ্বৈত বেঞ্চ রুল জারি করেন এবং ডিন নিয়োগ ও ডিন অফিসের কার্যক্রমের উপর ছয় মাসের স্থগিতাদেশ দেন।
এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. সৈয়দুর রহমান বলেন, ‘বিজ্ঞান অনুষদের ডিন নিয়োগের যে প্রক্রিয়াটি হয়েছে তা সম্পূর্ণভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিরোধী। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের ২২(৫) ধারা না মেনে ডিন নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমি এ বিষয়ে ডিন নিয়োগের পূর্বেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং রেজিস্ট্রারকে বিষয়টি জানিয়েছিলাম। তারা এ বিষয়টি আমলে না নিয়েই সংশ্লিষ্ট পদে আইন লঙ্গন করেই নিয়োগ দিয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি ডিন হওয়ার জন্য রিট করিনি। আমি একজন অধ্যাপক হিসেবে মনে করছি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাকে হেয় করছে। নৈতিক জায়গা থেকে আমি এমন অনিয়ম হতে দিতে পারি না। আর এ জন্যই নিজের রক্তের টাকায়, পরিশ্রমের টাকায় এ রিট করেছি।’
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০০৬ এর ২২(৫) ধারায় উল্লেখ রয়েছে, ‘ভাইস- চ্যান্সেলর, সিন্ডিকেটের অনুমোদনক্রমে, প্রত্যেক অনুষদের জন্য এটির বিভিন্ন বিভাগের অধ্যাপকের মধ্য থেকে জেষ্ঠ্যতার ভিত্তিতে পালাক্রমে দুই বছর মেয়াদের জন্য ডীন নিযুক্ত করবেন।
এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. আবু তাহের এ বিষয়ে বলেন, আইন অনুসারেই ডিন পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।