জাবিতে উন্মুক্ত পথ পাঠাগার স্থাপন
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যতিক্রমধর্মী উন্মুক্ত পথ পাঠাগার স্থাপন করা হয়েছে। টিআইবির সহযোগী সংগঠন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইয়েস গ্রুপের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে কাঠের বক্সে তৈরি এ পাঠাগারটি।
মঙ্গলবার (১০ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) এই লাইব্রেরী উদ্বোধন করেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবির) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান।
সাধারণত ক্যাম্পাসের টিএসসি, সমাজবিজ্ঞান অনুষদ ও মুরাদ চত্বরে বসে আড্ডা ও খোশগল্পে মেতে থাকে শিক্ষার্থীরা। তবে আড্ডার মাঝে কেউ পড়তে চাইলে তাদের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে এই মনোরম পথ পাঠাগার।
প্রাথমিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সামনে এ লাইব্রেরী বক্স স্থাপন করা হয়েছে। এই লাইব্রেরী সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। লাইব্রেরী বক্সে কোন তালা থাকবেনা। যে কেউ বই নিয়ে পড়তে পারবে। আবার নিজ দায়িত্বে রেখে দিতে হবে।
সংগঠনটির সাবেক টিম লিডার মাহবুব আলম তার দায়িত্ব পালনকালে এই লাইব্রেরী স্থাপনের ধারনাটি শেয়ার করেন গ্রুপটির কো-অর্ডিনেটর দিলরুবা বেগম মোনালিসার সঙ্গে। এই প্রস্তাব পছন্দ হলে টিআইবির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলাপ করেন তিনি। তাদেরও পছন্দ হলে এই আইডিয়াটি বাস্তবায়ন করে টিআইবি।
শিক্ষার্থীদেরকে বই পড়ায় প্রতি উৎসাহিত করার জন্য এমন আয়োজন করায় লাইব্রেরী সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন শিক্ষকরা। তারা বলছেন, ‘এই চমৎকার আইডিয়াটি বাস্তবায়ন হওয়ার ফলে শিক্ষার্থীরা আড্ডার সময়গুলোকেও ইচ্ছে করলে পড়ার কাজে ব্যয় করতে পারবে।’
এই বিষয়ে লাইব্রেরীর স্বপ্নদ্রষ্টা মাহবুব আলম বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এমন লাইব্রেরী রয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় প্রথম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন লাইব্রেরীর ধারণা বাস্তবায়িত হল।’ তিনি আরও বলেন, ‘পড়াশুনাটাকে নির্দিষ্ট স্থাপনের মধ্যে সীমাবদ্ধ করা ঠিক না। যার যখন ইচ্ছে, যেখানে ইচ্ছে পড়তে মন চাইবে সেখানেই যেন পড়তে পারে সে জন্য এই লাইব্রেরী। আশা করি শিক্ষার্থীরা এই লাইব্রেরীর উদ্দেশ্যকে কার্যকর করবে।’
এদিকে লাইব্রেরী উদ্বোধনের আগে সংগঠনটির আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সেমিনার কক্ষে নারী দিবস উপলক্ষে সেমিনার ও কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জাবি ইয়েস গ্রুপের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক বশির আহমেদ। এছাড়া প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক নাসিমা আখতার হোসাইন।