মুজিববর্ষের প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রশাসনিক ভবন খুলে দিয়েছে আন্দোলনকারীরা
মুজিববর্ষের প্রতি সম্মান জানিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন খুলে দিয়েছেন ইতিহাস বিভাগের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এর আগে ইতিহাস বিভাগের অনুমোদনের দাবিতে ৯ ফেব্রুয়ারী প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়েছিলো বিভাগটির শিক্ষার্থীরা।
এছাড়া নবনির্বাচিত শিক্ষক সমিতির সদস্যদের অনুরোধে এবং সাধারণ শিক্ষকদের লিখিত আশ্বাসে ৬ দিন পর অনশন স্থগিত করেছেন বিভাগটির ১৫ শিক্ষার্থী। তবে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী অনুমোদনের দাবিতে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন।
এ বিষয়ে ইতিহাস বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আফতাবউজ্জামান জানান, "আমরা ইতিহাস বিভাগের সকল শিক্ষার্থী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শতবার্ষিকী উপর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার গোপালগঞ্জ আগমন উপলক্ষে তার ওপর সম্মান প্রদর্শন করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সকল কার্যক্রম স্বাভাবিক করে দিচ্ছি। বশেমুরবিপ্রবির সকল শিক্ষকের উপর সম্মান প্রদান করে তাদের লিখিত আশ্বাসের উপর বিশ্বাস স্থাপন করে আমরা আমাদের আন্দোলনকে শিথিল করছি। শিক্ষকদের লিখিত বিবৃতি অনুযায়ী পহেলা এপ্রিল এর মধ্যে আমাদের বিভাগের অনুমোদন না হলে সকল শিক্ষক এবং সকল শিক্ষার্থী আমাদের যৌক্তিক দাবি আদায়ের লক্ষ্যে পরবর্তী আরো কঠোর কর্মসূচিতে আমাদের পাশে থাকবে।’
উল্লেখ্য, ইউজিসির অনুমোদন ছাড়াই ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেন বশেমুরবিপ্রবির সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিন। পরবর্তীতে চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারী বিভাগটিতে নতুন কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি না করানোর নির্দেশ দেয় ইউজিসি। ইউজিসির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ৬ ফেব্রুয়ারী রাত থেকেই প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলন শুরু করে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ইউজিসি ১৮ ফেব্রুয়ারী প্রফসর ড. দিল আফরোজ বেগমকে প্রধান করে ৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে।