০৪ মার্চ ২০২০, ১৬:৫৯

মিডিয়া চত্বরে টাঙানো উপাচার্যের হাজিরা খাতা উধাও, থানায় জিডি

  © ফাইল ফটো

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ’র হাজিরা খাতা ও তার দরজার সামনে টাঙানো ডিজিটাল ব্যানারের স্মারকলিপি হঠাৎ করে উধাও হয়ে গেছে। এর প্রতিবাদে এবং চোরদের ধরার জন্য রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগ এবং তাজহাট থানায় সাধারণ ডায়রি (জিডি) করা হয়েছে।

বেরোবি ক্যাম্পাসে শিক্ষকদের সংগঠন ‘অধিকার সুরক্ষা পরিষদ’ উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর ‘হাজিরা খাতা’ শিরোনামে সাদা বোর্ড গত ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ মিডিয়া চত্বরে টাঙিয়েছিল। সেখানে উপাচার্যের দৈনিক উপস্থিতি অনুপস্থিতির হালনাগাদ লেখা হচ্ছিলো। সেই বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী গতকাল পর্যন্ত ৯৯১ দিনের মধ্যে উপাচার্য ক্যাম্পাসে উপস্থিত ছিলেন মাত্র ২২৭ দিন। অনুপস্থিত ছিলেন ৭৬৪ দিন।

অধিকার সুরক্ষা পরিষদ গত ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ সংবাদ সম্মেলন করে উপাচার্যের প্রায় অর্ধশত অনিয়ম-দুর্নীতি এবং স্বেচ্ছাচারিতার খতিয়ান প্রকাশ করে। সংবাদ সম্মেলন করে সেদিনই সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জানিয়েছিলেন উপাচার্য ক্যাম্পাসে এলেই তাকে স্মারকলিপি দেওয়া হবে। কিন্তু তাকে ক্যাম্পাসে না পেয়ে শিক্ষকগণ তার হাজিরা খাতা টাঙিয়ে দিয়েছেন।

এর আগে ১১ ফেব্রুয়ারি উপাচার্যকে না পেয়ে অধিকার সুরক্ষা পরিষদের পক্ষে স্মারকলিপি একটি ব্যানারে লিখে উপাচার্যের কার্যালয়ের দরজা বরাবর সেঁটে দিলে প্রক্টর অফিস থেকে তা সরিয়ে ফেলা হয়। এর প্রতিবাদে নিন্দা জানিয়ে রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয় অধিকার সুরক্ষা পরিষদ। গত মঙ্গলবার সেই ব্যানারটি উদ্ধার করে অধিকার সুরক্ষা পরিষদ পুনরায় তা উপাচার্যের কার্যালয়ের বন্ধ দরজায় সেঁটে দিয়ে অবস্থান কর্মসূচী পালন করেন। কিন্তু বুধবার উপাচার্যের দরজার সামনের ব্যানার এবং রাসেল চত্বরের হাজিরা খাতা আর নেই। এই বিষয়ে অধিকার সুরক্ষা পরিষদ রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত দিয়েছে।

অধিকার সুরক্ষা পরিষদের আহবায়ক ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মতিউর রহমান বলেন, এর আগেও প্রশাসন আমাদের টাঙানো স্মারকলিপি খুলেছিল। আমার মনে করি এবারো প্রশাসনের পক্ষেই এ কাজ করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই এবং জড়িতদের শাস্তি দাবি করছি।

শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, অভিনব এবং শৈল্পিক আন্দোলনে যারা অগণতান্ত্রিক এবং গোপনে চৌর্যবৃত্তির আশ্রয়ে এসব কাজ করছেন তাদের প্রতি বিনীত অনুরোধ আপনার আগামীতে এ কাজ করবেন না। যেই বোর্ড এবং ব্যানার খুলে ফেলেছেন তা পুনরায় টাঙানোর ব্যবস্থা করুন।’

সংগঠনের সদস্যসচিব খায়রুল কবীর সুমন বলেন, আগামী কাল (বৃহস্পতিবার) আমরা এর প্রতিবাদে মানববন্ধন করব এবং নতুন করে হাজিরা খাতা স্থাপন করব।