আ.লীগ নেতার প্রোটোকল নিয়ে ছাত্রলীগের দুপক্ষে সংঘর্ষ, আহত ১
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক নজিবুল্লাহ হিরু ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল হাসান রিপনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রোটোকল দেওয়াকে কেন্দ্র করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সংগঠনটির অন্তত ১ কর্মী আহত হয়েছেন। তবে মারামারির বিষয়টি অস্বীকার করেছে শাখা ছাত্রলীগের নেতারা।
শনিবার রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িতরা শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ পদপ্রত্যাশী সৈয়দ শাকিল ও আক্তার হোসেনের কর্মী। এ ঘটনায় আহত মিনুন মাহাফুজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ১১ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী এবং শাখা ছাত্রলীগের একজন সক্রিয়া কর্মী। পরে আহত অবস্থায় মাহাফুজকে রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক নজিবুল্লাহ হিরু ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল হাসান রিপনের সংবর্ধনার অনুষ্ঠানে প্রোটোকল দেওয়ার সময় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আকতার হোসেনের কর্মী মিনুন মাহাফুজের সাথে ধাক্কা লাগে আরেক সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাকিলের।
রাত ১০টার দিকে অনুষ্ঠান শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক দিয়ে মিনুন মাহাফুজ ও তার বন্ধু সজীব বৈদ্য বের হওয়ার সময় সৈয়দ শাকিলের ৮-১০জন কর্মী তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। সেখান থেকে মিনুন মাহাফুজকে ধাওয়া করে লক্ষ্মীবাজার সেন্ট গ্রেগরি স্কুলের সামনে নিয়ে পুনরায় মারধর করে হামলা কারীরা। পরে ৩য় দফায় কবি নজরুল সরকারি কলেজের সামনে নিয়ে মারধর করা হয় মাহাফুজকে। এসময় আহত মিনুন মাহাফুজকে উদ্ধার করে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সৈয়দ শাকিলের কর্মীরা এখানেও তাকে বাঁধা দেয়। পরে সেখান থেকে মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
আহত মিনুন মাহাফুজ বলেন, প্রোটোকল দেওয়ার সময় কিভাবে কার সাথে আমার ধাক্কা লেগেছে সেটা আমি খেয়ালও করিনি। এর সূত্র ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জুনিয়র শিক্ষার্থীদেরকে আমার উপর লেলিয়ে দেওয়া হয়। তারা আমাকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতেও বাঁধা দিয়েছে।
এ ব্যাপারে আক্তার হোসেনে সাথে যোগাযোগ করা হলে কর্মী আহত হওয়ার ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, আমার কোনো কর্মী আহত হয়নি, এসময় কোনো মারামারির ঘটনাও ঘটেনি। আক্তারের কর্মী মিনুন মাহাফুজ হাসপাতালে ভর্তি থাকার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, সে প্রোটোকল দেওয়ার সময় গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা খেয়েছে। আপনারা এ বিষয়ে আপাতত কোনো মাতামাতি করবেন না।
সৈয়দ শাকিলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এরকম কিছুই হয়নি, প্রোটোকল দেওয়ার সময় ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটলেও এটি নিয়ে কোনো মারামারি হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, দুই গ্রুপের মারামারির বিষয়টি আমরাও শুনেছি। তবে এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ আসেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।