০১ মার্চ ২০২০, ১৩:৪৫

গবেষণাপত্রে বুয়েটকে টপকে শীর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

  © টিডিসি ফটো

গবেষণাপত্র প্রকাশে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে তৃতীয় হয়েছে বাংলাদেশ। তবে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে থাকা দেশগুলোর তুলনায় অনেক পিছিয়ে। আর তৃতীয় স্থানে থাকা বাংলাদেশের মাত্র ছয় হাজার ৩৬৩টি গবেষণা পত্র প্রকাশিত হয়েছে।

আর বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়। এবার বুয়েট দ্বিতীয় অবস্থানে থাকলেও আগের দুই বছর তারা শীর্ষে অবস্থান করছিলো।

এই তালিকায় প্রথম অবস্থানে আছে ভারত। তাদের প্রকাশিত গবেষণাপত্রের সংখ্যা এক লাখ ৭৫ হাজার। আর দ্বিতীয় স্থানে থাকা পাকিস্তানের এ সংখ্যা ২২হাজার।

বাংলাদেশে এ বছর সবচেয়ে বেশী গবেষণাপত্র প্রকাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। প্রকাশিত গবেষণা পত্রের সংখ্যা ৬৬৯টি। আর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বুয়েট। এসব গবেষণাপত্রের মধ্যে কনফারেন্স প্রবন্ধ, রিভিউ, বুক চ্যাপ্টার, নোট, এডিটোরিয়াল, বই, সংক্ষিপ্ত জরিপ প্রভৃতি রয়েছে।

প্রকাশিত এসব জার্নালের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করার মতো জার্নাল কিংবা তথ্য-উপাত্তে বাংলাদেশি গবেষণাপত্রের অবদান মাত্র চারটি। সায়েন্টিফিক বাংলাদেশ নামে একটি অনলাইন জার্নাল গবেষণা নিয়ে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

গবেষণাপত্রের মধ্যে ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে এক হাজার ৮৬১টি, কম্পিইটার সায়েন্স বিষয়ক এক হাজার ৬৪৪টি এবং ওষুধের বিষয়ে এক হাজার ১২৬টি রয়েছে। 

এ তালিকায় আইসিডিডিআরবি তৃতীয় এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় চতুর্থ স্থানে রয়েছে। পরের অবস্থানগুলো যথাক্রমে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।

বাংলাদেশী গবেষকদের মধ্যে সেরা কাউসার আহমেদ। তিনি মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। তার প্রকাশিত গবেষণাপত্রের সংখ্যা ৩৯টি। এর আগে ২০১৮ সালের বাংলাদেশি গবেষকদের পাঁচ হাজার ২৩৪টি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়।

সায়েন্টেফিক বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা এবং নির্বাহী সম্পাদক ড. মনির উদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের গবেষকদের গবেষণাপত্রের সংখ্যা সামান্য বেড়েছে সত্য, তবে বিজ্ঞানে আরও এগিয়ে যেতে যতটা প্রয়োজন সে তুলনায় এখনো অনেক কম। ভারত এবং পাকিস্তানের সঙ্গে তুলনা করলে আমাদের গবেষণাপত্রের সংখ্যা সামান্যই বলা চেলে।

তিনি বলেন, আমাদের গবেষণা সংস্থাগুলো গবেষণাপত্র বৃদ্ধিতে কাজ করতে হবে। গবেষণাকে বাণিজ্যিকিকরণের ওপরও জোর দেন তিনি।